খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: আমাদের অনেকেরই স্মৃতিশক্তি একটু দুর্বল। কারো পড়লে মনে থাকে না। কেউ মানুষের নাম মনে রাখতে পারেন না। কারো বা সংখ্যায় লাগে গণ্ডগোল। দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে এরকম অনেক ঘটনার মুখোমুখি হয় মানুষ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করে জানতে পারেন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
মূলত যে যে খাবারগুলি নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি মারাত্মক বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো:
* অ্যাভোকাডো: এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ফলেট মস্তিষ্কের অন্দরে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশানেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। বরং নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে মেমরি বাড়তে শুরু করে।
* বিট: বিটের অন্দের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তিও।
* জাম: স্মৃতিশক্তি কমে যায় এমনটা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে জাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটির অন্দের থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। জামে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড, ব্রেনকে স্ট্রেস এবং ডিজেনারেশনের হাত থেকে বাঁচায়।
* ব্রকলি: ক্রসিফেরাস পরিবারের এই সবজিটি স্মৃতিশক্তিকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে এই সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে ব্রকলির মধ্যে থাকা ভিটামিন কে এবং কোলিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্রকলি যে পরিবারের সদস্য, বাঁধাকপি এবং ফুলকপিও সেই একই পরিবারের অংশ। তাই ব্রকলি খেতে ইচ্ছা না করলে বাঁধাকপি বা ফুলকপিও খেতে পারেন।
* নারকেল তেল: শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ঠিক যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নারকেল তেল বাস্তবিকই সাহায্য করে থাকে। আসলে এই তেলটির অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজ মস্তিষ্কের ভিতরে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। ফলে স্মৃতিশক্তির কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
* ডার্ক চকোলেট: এই চকলেটটিতে ফ্লেবোনয়েড নামক একটি উপাদান থাকে, যা মেমরি লসের আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে অন্যান্য ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। তাই সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে যদি দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত অল্প করে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করুন।