খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পেশাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে জনমত জরিপ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জরিপে বিএনপির চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে থাকার তথ্য মিলেছে।
একইভাবে বিএনপির উদ্যোগে পরিচালিত জরিপে নিজেদের এগিয়ে থাকার তথ্য পেয়েছে সংসদের বাইরে থাকা বড় এই রাজনৈতিক দলটি।
আওয়ামী লীগের পক্ষে জরিপ পরিচালনায় যুক্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ পেশাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে চালানো জরিপে বিএনপির চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে থাকার তথ্য পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। জরিপের এমন ফলে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ছে দলটির নীতিনির্ধারকদের। জরিপের ফল অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে ২০০৮ সালের চেয়েও বড় জয় পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ। নির্মোহভাবে পরিচালিত এসব জরিপ দলীয় নীতিনির্ধারণের জন্য করা হচ্ছে বলে এগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে জনমত যাচাই করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে জরিপ ও গবেষণা করিয়েছে বিএনপি। ওই সব জরিপ ও গবেষণা প্রতিবেদনের কয়েকটি এখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার টেবিলে। জরিপে তথ্য মিলেছে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের ফল বিএনপির পক্ষে যাবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দলটির করণীয় সম্পর্কে একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে।
জরিপে আওয়ামী লীগের এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে ২০০৮ সালের চেয়েও বড় বিজয় আসবে। আমি একটি জরিপ করেছি। তাতে এই ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেই। দেশের মানুষের বিশ্বাস ও সমর্থন আমাদের প্রতি চলে এসেছে। আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো দল বাংলাদেশে নেই।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই জরিপটি কিভাবে করা হয়েছে জানতে চাইলে জয় বলেন, একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জরিপ করানো হয়েছে। এতে আমিও জড়িত ছিলাম। আমি মনে করি, এটি অন্যতম একটি সঠিক জরিপ।’ প্রতিবছরই এ রকম জরিপ করা হয় বলেও জানান তিনি।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের কাজ তত্ত্বাবধানের সঙ্গে যুক্ত আছেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, ‘জরিপকাজগুলো সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এগুলো পুরোপুরি পেশাদারি বজায় রেখে নির্মোহভাবে করা হচ্ছে। এসব জরিপের যে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে তা আওয়ামী লীগের জন্য খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ফলাফল দেখে আমরাও অনেক সময় অবাক হচ্ছি। আগে যেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সমান সমান অবস্থান ছিল, ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো, সেসব এলাকায় এখন আওয়ামী লীগ অনেক এগিয়ে গেছে। এমন বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, খালেদা জিয়াকে পছন্দ করছেন ২৩ ভাগ মানুষ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ করছেন ৭৭ ভাগ মানুষ।’
আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট নেতাদের দাবি, জনমত জরিপের কাজগুলো পুরোপুরি পেশাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে করানো হচ্ছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে জরিপের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। জরিপকাজে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটারদের মত নেওয়া হচ্ছে। জরিপে নমুনায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এসব জরিপে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে তা অনেক বেশি নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য। জরিপের ক্ষেত্রে একটি আসনে যতসংখ্যক ভোটার আছেন তাদের মধ্যে ন্যূনতম ৫ শতাংশের অভিমত নেওয়া হচ্ছে। ভোটার তালিকা থেকে লটারি করে নির্বাচিত ভোটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এতে একটি এলাকার সব ভোটারেরই জরিপে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা সমান থাকে।
জরিপকাজে যুক্ত একটি সূত্রে জানা যায়, জরিপগুলো মূলত দলের নীতিনির্ধারণের জন্য করা হচ্ছে। সে জন্য এগুলো গোপনে করা হচ্ছে এবং জনসম্মুখে প্রকাশ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় বিজয়ের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন সেটি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই বলেছেন। কারণ আমরা একটি বিষয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জরিপ করাচ্ছি। একটি প্রতিষ্ঠানকে জানতে দিই না যে অন্য প্রতিষ্ঠানও একই বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য মিলিয়ে দেখছি।’
তিনি জানান, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, একসময় বিএনপির ব্যাপক দাপট ছিল এমন এলাকাগুলোতেও আওয়ামী লীগের জনসমর্থন অনেক বেড়েছে। আর যেসব আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থান ছিল সেগুলোতে বিএনপি এখন অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এসব আসনই আগামী নির্বাচনের ফলাফলে বড় ভূমিকা রাখবে।
তরুণদের মধ্যে ৩৬% আ.লীগকে, ৩.৪০% বিএনপিকে ভোট দেবেন : চলতি বছরের মার্চ মাসে দি ইন্ডিপেনডেন্ট এবং রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) এক জনমত জরিপ পরিচালনা করে। ফোনে এক হাজার পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জরিপটি চালানো হয়। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে কোন দলকে ভোট দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ৩৬.১ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। মাত্র ৩.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানান। জরিপে অংশ নেওয়া ১.২ শতাংশ মানুষ জাতীয় পার্টিকে এবং ০.৪ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবে বলে জানায়। ওই জরিপ মতে, ৪৯.৭ শতাংশ মানুষ জানায়, তারা কাকে ভোট দেবে সে সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারেনি। ৭.৫ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে উত্তর দিতে রাজি হয়নি। আর ১ শতাংশ মানুষ জানায়, তারা কাউকেই ভোট দেবে না।
জরিপে অংশ নেওয়া ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নাগরিকদের ৫৫.৪০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে এবং ২০.৮০ শতাংশ বিএনপিকে ভালো দল মনে করে। ওই তরুণদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ আওয়ামী লীগকে আর ৩.৪০ শতাংশ বিএনপিকে ভোট দেবে বলে জানায়।
শেখ হাসিনার পক্ষে ৭২.৩%, খালেদা জিয়ার পক্ষে ২৬.৬% : জরিপে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন। দুই নেত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনাকে ৭২.৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভালো নেত্রী মনে করেন।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মত দেয় ২৬.৬ শতাংশ উত্তরদাতা। শেখ হাসিনা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব জানিয়েছে ২ শতাংশ আর খালেদা জিয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব জানিয়েছে ১৩.৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫৬.৯ শতাংশ মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগ ভালো আর ১৮.৫০ শতাংশ মনে করে বিএনপি ভালো। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ মানুষ জানায় জাতীয় পার্টি ভালো। জরিপটিতে আওয়ামী লীগকে খারাপ দল মনে করে ২.৬০ শতাংশ মানুষ। বিএনপিকে ৪৪.১০ শতাংশ এবং জাতীয় পার্টিকে ২৫.৪০ শতাংশ মানুষ খারাপ দল মনে করে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করে, তাদের পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা বেড়েছে। ১৬.৯ শতাংশ মানুষ মনে করে তাদের নিরাপত্তা কমেছে। ২০ শতাংশ মানুষ জানায়, তাদের নিরাপত্তা অপরিবর্তিত আছে। ৬৮.৬ শতাংশ মানুষ জানায়, দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ওয়াশিংটনভিত্তিক ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চালানো জনমত জরিপেও এগিয়ে ছিল আওয়ামী লীগ।
বিএনপির পক্ষে মূল গবেষণা বিএনআরসির : দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি গবেষণার মূল কাজটি করাচ্ছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারকে (বিএনআরসি) দিয়ে। এ ছাড়া ইনসাইড সার্ভে অব বাংলাদেশ, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি দল, বিএনপি ঘরানার শিক্ষক-পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি প্রতিষ্ঠান জরিপ ও গবেষণা চালাচ্ছে। বিএনআরসির মূল প্রতিবেদন এখন খালেদা জিয়ার টেবিলে। তিন মাস সারা দেশে তথ্য সংগ্রহ শেষে ফল বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ফল অভাবনীয় রূপে বিএনপির পক্ষে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারকে বিএনপির গঠনতন্ত্রের সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে। এর কাজ হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা। সেখানে তারা বিষয়ভিত্তিক গবেষণার কাজ সম্পন্ন করে থাকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রফেশনাল ও অভিজ্ঞদের দিয়ে। সেখান থেকে যতটুকু তথ্যের প্রয়োজন, বিএনপি ঠিক ততটুকুই নিয়ে থাকে।
গবেষণাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত এক পেশাজীবী নেতা জানান, বিএনআরসির সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে সাতজন শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ। নির্বাচন সামনে রেখে সমন্বয়কারী নেতারা এই দলকে তৃণমূল কর্মী, নেতা ও ভোটারদের পরামর্শ তুলে আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভাগওয়ারি নিজেদের অধীনে কর্মী নিয়োগ করেছিলেন তারা। পরে সেখান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেসব বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
শিক্ষক-পেশাজীবীদের গবেষণা শেষ পর্যায়ে : বিএনপি ঘরানার শিক্ষক ও পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি প্রতিষ্ঠান যে গবেষণা চালাচ্ছে, তাতেও আগামী নির্বাচনেও ভালো ফল করার তথ্য মিলছে। ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এক শিক্ষক নেতা বলেন, ‘কেমন সরকারের অধীনে নির্বাচন চান, কোনো দলকে ভোট দেবেন, কেন ভোট দেবেন, সরকারের সফলতার প্রধান দিক কী, প্রধান ব্যর্থতা কী, আপনি সরকার দ্বারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত কি না, হলে কিভাবে? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন কি না, না দিয়ে থাকলে কেন দেননি? শেখ হাসিনা না খালেদা জিয়া কাকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়? ‘না’ ভোটের বিধান রাখা যেতে পারে কি না-এমন ১৯টি প্রশ্নের উত্তর সারা দেশ থেকে তুলে আনার কাজ করছে তারা। এটির কাজ শেষ পর্যায়ে। কয়েকটি জেলা বাদে বাকিগুলোর তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই তা বিএনপি হাইকমান্ডের কাছে জমা দেওয়া হবে।’ তিনি জানান, এ কাজে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে দিয়ে মাঠে জরিপকাজ করানো হয়েছে। প্রতি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে সাতজন প্রভাবমুক্ত লোকের মতামত নিয়ে ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে।
বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দলের সিনিয়র নেতারা ছাড়াও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহসহ অভিজ্ঞরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রতিটি দলই তার নিজের মতো কাজ করে, বিএনপিও করছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ