খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমবে এমন আশায় ছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নতুন চাল ঢাকায় আসার পর সব চালেই কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে যায়। বাজারে চালের সংকট না থাকলেও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে একে অপরকে দুষছেন পাইকার ও মিল মালিকরা। সূত্র- নিউজ টোয়েন্টিফোর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি খাতে আমদানি করা চাল বাজারে সম্পূর্ণ না আসায় এবং কৃষক পর্যায়ে মজুদের কারণে কমছে না চালের দাম।
কিছুতেই কাটছে না চালের বাজারের অস্থিরতা। নতুন ধানে বাজারে স্বস্তি ফিরবে এমন আশা করলেও তাতে গুড়েবালি। চালের দামে টানা বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে সাধারণ ভোক্তারা। এমন বাজার পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত বাজার তালিকায়ও পরিবর্তন আনতে হয় তাদের। এরপরও আশা দাম নিয়ন্ত্রণে নজর দিবে সরকার।
ক্রেতাদের অভিযোগ, চালের দাম এভাবে বৃদ্ধি পেলে তারা চাল কিনে খেতে পারবে না।
চালের বাজারের অস্থিরতার জন্য আরতদাররা মিল মালিকদের পাশাপাশি বেশি দামে সরকাররের চাল মজুদ করাকে দায়ী করা হচ্ছে।
অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের চাল সংগ্রহকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন খাদ্য মজুদের জন্য এমইউ কর্মসূচি হাতে নিলো তখনই চালের দাম বেড়ে গেল। দাম ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা হয়ে গেল। তার কারণ হলো ব্যবসায়ীরা চিন্তা করেন, যেহেতু ধান কেনার প্রতিযোগিতা চলছে তাই এই মুহূর্তে ধান সংগ্রহ করতে হবে।’
তবে বিশেষজ্ঞরা চালের দাম বাড়ার পেছনে কৃষকের নিজস্ব মজুদ এবং বেসরকারি খাতে আমদানি করা চাল পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে না ছাড়াকেই দায়ী করেন।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যারা বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করেছেন তারা তাদের স্টক বাজারে ছাড়ছেন কিনা সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার। চাষীরাও তাদের স্টক ছাড়ছেন কিনা সেটাও দেখতে হবে। পেঁয়াজ যখন ১২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয় তাহলে চাল কেন সে কম দামে বিক্রি করবে।’
সংশ্লিষ্টরা আশংঙ্কা করছেন, আমনের মৌসুম শেষে বাজারে চালের দাম আরো কয়েক দফা বাড়বে। তাই চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিং এবং সরকারকে এখনই পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানির পরামর্শ দিলেন তারা। সূত্র- নিউজ টোয়েন্টিফোর।