খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে ইলেকট্রিক তালা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তালা লাগানোর ব্যাপারটি পরিচালনা করতে গেলে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বছরে খরচও বাড়বে অন্তত ১শ’ কোটি টাকা। সূত্র- ডিবিসি নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৮টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে পরিবাহিত কন্টেইনারে বিশেষ ধরনের ইলেট্র তালা ব্যবহারের জন্য ২০১৬ সালে এনবিআর একটি সার্কুলার জারি করে। পরে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে ইলেক্ট্রিক তালা চাবির ব্যাপারটি স্থগিত করা হলেও সম্প্রতি আবারও সার্কুলার জারি করে রাজস্ব বোর্ড। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো।
চট্রগ্রাম চেম্বার ও পোর্ট ইউজার্স ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যেসব পণ্য শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে আমদানি হয়ে আসে সেই এজেন্টেরই দায়িত্ব পণ্যগুলো সিল করে পাঠানো। আর যে পণ্যগুলো দেশের বাইরে যায় সেগুলোও সিল করে যায়। কাজেই এখানে প্রতি কন্টেইনারে তালার জন্য ৬শ’ টাকা করে বাড়তি খরচ করতে কোনো ব্যবসায়ী চায় না।
সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসাইন বলেন, আমদানি-রপ্তানি খরচ না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হচ্ছে। এটা অবান্তর এবং অবাস্তব সিন্ধান্ত। শুধু সিল দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে আর্থিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের লাভ কী! ব্যয় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে আমরা চিঠিও দিয়েছি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, পণ্যের নিরাপত্তার স্বার্থেই অত্যাধুনিক এই লক ব্যবস্থার প্রচলন করা হচ্ছে। যে কন্টেইনারগুলো রপ্তানি হবে সেগুলো যদি লক করে দেওয়া হয় তাহলে পথিমধ্যে কোনো দুর্ঘটনা হয় তাহলে সেগুলো এক ধরণের আওয়াজ দিবে যেটি সিম্পিল মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে জানা যাবে কন্টেইনারটি বিপদগ্রস্ত হয়েছে কি না।
ব্যবসায়ীদের অভিমত তালা লাগানোর ব্যাপারটি পরিচালনা করতে গেলে শুধু যে সময়ক্ষেপণ হবে তা-ই নয়, বন্দরের সার্বিক হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। সৃষ্টি হবে কন্টেইনার ও জাহাজ জট।