Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম এখন চরমে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ভোটের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততই শাসকদলের সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকি বাড়ছে। আপনারা শুরু থেকেই দেখছেন, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে সেজন্য বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও স্থানীয় পুলিশ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে- বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করা হলেও শাসকদল ও তাদের জোটের প্রার্থী ও সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালালেও সেক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নির্বিকার রয়েছে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপকভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। রোববার স্থানীয় মান্দারা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সরকারী দলের লোটাস কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অবিলম্বে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান রিজভী।

যারা সৃষ্টি করে তাদের দেশের প্রতি মায়া থাকে, আর যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের থাকে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরনিন্দায় অন্তহীন মুখর থাকাটাই প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কাজ। এছাড়া তিনি দেশকে কিছুই দিতে পারবেন না।

দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রশ্নও ফাঁস: বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ- গণমাধ্যমের এই সংবাদ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এটা গোটা জাতির জন্য লজ্জাস্কর। গতকাল এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন প্রশ্নফাঁসে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা জড়িত। এ বিষয়ে কী আওয়ামী সরকার প্রধানসহ মন্ত্রীরা লজ্জিত হন না, তাদের টনক নড়ে না।

রিজভী অভিযোগ করেন, বিজয় দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফেরার পথে পুলিশ অভিনব কায়দায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ীবহরে বাধা দেয়। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড তৈরী করা হয় এবং ট্রাকের চালকদের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়া হয় যাতে তারা ট্রাক নিয়ে চলে যেতে না পারে। সরকারের মদদে পুলিশের এহেন আচরণ নজীরবিহীন- বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে হয়রানী করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করতে পুলিশ ট্রাক দিয়ে বাধা দিয়েছে। এটি পুলিশের বেআইনী অপরাধমূলক কাজ। আমি বিএনপি’র পক্ষ থেকে এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।