খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার,, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭: ছাউনি সংকট ও যথাসময়ে পণ্য খালাস না করায় বেনাপোল স্থলবন্দরে খোলা আকাশের নীচে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার আমদানি পণ্য। প্রতি রাতেই চুরি হচ্ছে লাখ টাকার পণ্য। কমছে গুণগত মান।
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। এর পণ্য ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ওপেন শেডসহ ৪২টি ছাউনির অনেকগুলোই ব্যবহার অনুপযোগী। এতে ৩৬ হাজার মেট্রিকটন পণ্য ধারণ ক্ষমতা থাকলেও রাখা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিকটন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আমদানিকৃত ট্রাকের চেসিসি ও পণ্যবাহী ট্রাক দখল করেছে প্রধান সড়ক। পণ্য হাতানোর সুযোগ থাকায় বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে চোর সিন্ডিকেট।
স্থানীয় প্রভাবশালী ও বন্দরকর্মীসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, হাজার হাজার টাকার পণ্য খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপও পাচ্ছি না। লাখ লাখ টাকার মালামাল বেনাপোল বন্দরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বারবার মিটিং করা হচ্ছে, কিন্তু কোন কার্যকারিতা নেই।
অন্য আরেকজন বলেন, খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে সব। এই সুযোগে কিছু কুচক্রী দল প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে।
বন্দর ও কাষ্টমসের কাজকর্মে তদারকি বৃদ্ধিসহ পড়ে থাকা মালামাল দ্রুত ছাড়িয়ে নিলেই সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মালামাল থাকলে এরকম পণ্য জট লাগে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি ব্যবসায়ীরা মাল খালাস করে নেয় তাহলে সুবিধা হয়।
বন্দরে স্থান সংকট সমাধানে নতুন ছাউনি নির্মাণের কথা জানিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
যশোর বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২৪.৯৮ একর জমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেড দুইটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত ও অধিগ্রহন সম্পন্ন হলে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকসহ আনুষাঙ্গিক সমস্যার সমাধান হবে।
অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবি ব্যাবসায়ীদের।