বৃহঃ. মে ২, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার,, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭: যদিও একটা সময় ছিল যখন কচু শাককে জংলা হিসেবেই ধরা হত। ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে শাক হিসেবে কচু শাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কচুশাক অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা প্রচুর কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

কচু একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর সবজি। কচু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চোখের জ্যোতির জন্য কচু শাকের উপকারিতা অনন্য।

কচু শাক দুই ধরণের হয়ে থাকে: সবুজ কচু শাক ও কালো কচু শাক। খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচু শাকে যথাক্রমে ১০২৭৮ ও ১২০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে। এ ক্যারোটিন থেকেই আমরা ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচু শাক থেকে ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৮ গ্রাম শর্করা, ১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১০ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৫৬ কিলো ক্যালোরি খাদ্যশক্তি।

কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে হজম হয়। আয়রন সমৃদ্ধ বলে এর সমাদরও বেশি। রক্তে হিমোগেøাবিনের মাত্রা কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রচুর কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচুতে আছে অনেক আঁশ। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কচু শাক সারা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে জুড়ি নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচু শাক দারূণ ভূমিকা রাখে। এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগের জন্য এই শাক কাজ না করলেও অন্যভাবে পুরো শরীরেরই উপকার করে।