খােলা বাজার২৪। শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলীয় প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে হারলেও এ নির্বাচনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। অবশ্য মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে কতগুলো ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাধা দিয়েছে, ঠিকমতো নির্বাচনের প্রচার করতে দেয়নি। অন্যান্য দলকে যেখানে প্রচার চালাতে বেশি সময় দিয়েছে, তখন আমাদের দলকে বেশি প্রচারণা করতে দেয়নি। এগুলো সমস্যা ছিলই।
বাট ওভারঅল, বিষয়টা যেটা ছিল, নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে আর কি। নির্বাচনের আগে বিএনপি’র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যে গতি থাকার কথা, আমি তা সেখানে দেখিনি। সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো উত্তেজনা ছিল না। দু’টো সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, রংপুরে কোনো দলেরই খুব বেশি ‘সুইটেবল’ প্রার্থী ছিল না। আর দ্বিতীয় কারণটা হতে পারে ‘এরশাদ সিনড্রোম’।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরশাদ সাহেব নিয়ম ভঙ্গ করে আগের দিন আমার সঙ্গেই (একই ফ্লাইটে) রংপুর গেছেন।
উনি সারারাত রংপুরে ছিলেন, ভোট দিয়ে এসেছেন। তার উপস্থিতিটাই সেখানে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। তবে আমি মনে করি, সবমিলিয়ে নির্বাচনটা সকলেরই গ্রহণ করা উচিত। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের প্রার্থীর সামনে সবধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে মাত্র সাতদিন আগে তিনি নির্বাচনের ক্লিয়ারেন্স পেয়েছেন। সে হিসেবে প্রচারণাই চালাতে পারেনি। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। ভোটের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। এর সবই করা হয়েছে আমাদের প্রার্থী যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারে।
টুকু বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ যেহেতু ছিল না সেহেতু এখানে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণের খুব বেশি কিছু নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লড়াই হতো ধানের শীষের সঙ্গে লাঙ্গলের। রংপুর দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় পার্টির একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে সেখানে আমাদের অবস্থান আশাব্যঞ্জক। প্রতিটি নির্বাচনের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক ভিত শক্ত হয় সে হিসেবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের সংগঠনিক ভিত আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে রংপুরে।
অন্যদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্বাচন করবেন, প্রকাশ্যে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবেন; দখল করে নেবেন। সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে রংপুরে কী হয়েছে আমরা কি জানি না? আমরা জানি, গণমাধ্যমে সব কিছু এসেছে। এরপরও মিথ্যা প্রচার করে সব ঢেকে রাখবে সরকার। মানবজমিন