খােলা বাজার২৪। রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭: পেপাল জুম সেবা চালু হওয়ার দুই মাস পরেও ফ্রিল্যান্সারদের এ সেবায় উৎসাহ কম। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, সঠিক প্রচারণার অভাবে ফ্রিল্যান্সারদের অংশগ্রহণ কম। বিশেষজ্ঞরা বলছে বিকল্প সেবার ওপর নির্ভরশীল হতে।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপালের জুম সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। লক্ষ্য ছিল দেশি ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশ থেকে অর্থ আনার পথ সহজ করা। কিন্তু লেনদেনে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু না করায় এ নিয়ে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লেনদেনে বিশেষ সুবিধা থাকায়, পেওনিয়র ও বিদেশি পেপাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররা।’
এ সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সারা বলেন, ‘পেওনিয়রের মাধ্যমে আমরা কাজ করতে পারি এবং স্কিলটা বৃদ্ধি করছি। জুমের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে এসেছে ভালো কোন পেমেন্ট পাচ্ছি না। যদি ফুল সার্ভিসটা পাওয়া যেত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভালো হত।
পেপালের জুম সেবার মাধ্যমে এ পর্যন্ত সোনালি ব্যাংকে রেমিট্যান্স ও অন্যান্য অর্থ মিলে এসেছে ১০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা বলেন, রেমিট্যান্স আসার হার বাড়লেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা খুব কম। তাদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু সুবিধা চালুর কাজ চলছে।
সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল লায়েস আফসারি বলেন, আমাদের কোন জটিলতা আছে কিনা সেটা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হতে হবে। ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন। আমরাও পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। যদি পেমেন্টটা ছোট পার্সেন্টের ৫ বা ৮ শতাংশ হোক বা যে কোন ধরণের কাজের জন্য তারা পেপাল ব্যবহার করতে পারবে।
দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। প্রতিবছরই বাড়ছে এ সংখ্যা। বিশ্লেষকেরা বলছে, একটির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বিকল্প আরো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
এ সম্পর্কে তথ্যপ্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘অনেকে ভুর্তকি দেন না বা বিভিন্ন জায়গায় উৎসাহ দেন না। এক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে হবে অর্থ লেনদেনটাকে কিভাবে সহজ করে দেয়া যাবে। তাহলে সেটা তাদের জন্য অনুপ্রাণিত হবে।’
বিশ্বের ২০৩ দেশে পেপাল চালু থাকলেও পূর্ণাঙ্গ সেবা দেয়া হয় ২৯টি দেশে। বাংলাদেশসহ ১০৩ টি দেশে শুধু টাকা আনার সুবিধা আছে। সোনালী, রূপালী, অগ্রণীসহ নয়টি ব্যাংকে এ সেবা পাওয়া যাবে।
সূত্র – ইনডিপেনডেন্ট টিভি