Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার , ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭: সুস্থ থাকার জন্য মেদহীন থাকা জরুরি। অতিরিক্ত মেদ উচ্চরক্তচাপের মতো রোগের পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। মেদ ঝরানোর জন্য চাই সঠিক ডায়েট প্ল্যান। হঠাৎ দুইদিন ডায়েট মেনে আবার ইচ্ছেমত খাওয়া-দাওয়া করলে মেদ কমবে না। আবার ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকলেও কিন্তু কাজ হবে না! নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারে মেদ কমাতে।

প্রথমেই লক্ষ্য ঠিক করুন। উদ্দেশ্যহীনভাবে ডায়েট চার্ট মেনে চললে উপকারের চাইতে ক্ষতিই হবে বেশি। একবারে অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। ধীরে ধীরে ওজন কমানোর প্রস্তুতি নিন।

আত্নবিশ্বাস আনুন। যারা সঠিক ডায়েট মেনে ওজন কমিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে পারেন। এটি আপনার মনে আত্নবিশ্বাস জোগাবে।

মনে রাখবেন, ডায়েট চার্ট মেনে চলা মানেই না খেয়ে থাকা নয়। পরিমিত ও সুষম খাবারই পারে আপনাকে সুস্থ রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে।

ডায়েট চার্ট অনুযায়ী চলার আগে ওজন মেপে নিন। কতদিনে কতোটুকু কমাতে চান সেটি ঠিক করুন। এই সময়ের মধ্যে আর ওজন মাপবেন না।
অন্য কারোর কথা শুনে নিজে নিজে ডায়েট চার্ট বানাবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন চার্ট।

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খান। এটি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করবে ও পিএইচ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। এতে একবারে বেশি খাওয়া হয়ে যায় যা মেদ বাড়ায় আরও। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খান।
প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খান। সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার পাওয়া যায়। এগুলো যেমন ক্ষুধা মেটায়, তেমনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সুস্থ রাখে শরীর।

প্রতিদিন ফল ও ফলের রস খান। অন্তত ৩ ধরনের ফল খান প্রতিদিন। পুষ্টিকর ফল বাড়তি মেদ জমতে দেবে না শরীরে।
দৈনন্দিন ডায়েট চার্টে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন। অ্যাভোকাডো, বাদাম, মাছের তেল ও অলিভ অয়েলে শরীরের জন্য উপকারী ফ্যাট পাওয়া যায়।

ডায়াটারি ফাইবার আছে এমন খাবার খান। এগুলো দ্রুত ক্ষুধা মেটায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
রাতে ২ চা চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে মেথির পানি পান করুন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে সকালের নাস্তা। এটি কোনওভাবেই মিস করা চলবে না। সকালে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে ভালো করে নাস্তা করুন। সারাদিনের এনার্জির যোগান দেবে এটি।

দুপুরে খুব বেশি না খেয়ে হালকা কিছু খান। সকাল ও দুপুরের মাঝে ক্ষুধা লাগলে শুকনা ফল বা বাদাম খেতে পারেন।
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় যেসব ফলের রস সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও রং থাকে। এগুলো খাবেন না ভুলেও। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে কোল্ড ড্রিংকসও এড়িয়ে চলুন।
মাছ খেতে পারেন নিয়মিত।

চিনি ও চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি কিংবা অতিরিক্ত ক্যালোরি পেটে মেদ হয়ে জমতে থাকে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাড়তি লবণ খাবেন না খাবারে। বিশেষ করে কাঁচা লবণ একেবারেই খাওয়া চলবে না।

প্রতিদিন ডাবের পানি পান করতে পারেন নিশ্চিন্তে। এটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে সুস্থ রাখবে আপনাকে।

চা, কফি পানের অভ্যাস থাকলে গ্রিন টি ও ব্ল্যাক কফি খান চিনি ছাড়া।

মূল খাবারের মাঝখানে ক্ষুধা লাগলে গাজর কিংবা শসা খেতে পারেন।

রাতে নিয়মিত ঘুম জরুরি। প্রতিদিন রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

খাওয়ার সময় অন্য কাজে মনোযোগ দেবেন না।

দুপুর অথবা রাতের খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে পানি পান করবেন।

রাতের খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন।

ভোরে অন্তত একঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।