খােলা বাজার২৪। বুধবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭:নতুন বছরের সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় আর মাত্র কয়েকটা সূর্যাস্ত। নানান ঘটনায় বিদায় নিচ্ছে ২০১৭। খেলার দুনিয়ায় ঘটে গেছে অনেক ‘খেলা’ অনেক নাটক। এসব নাটক আর ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম টাইমস লাইভ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মজার বিষয় হচ্ছে, প্রতিবেদনটির শুরুতেই রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
ঘটনাটি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়েলিংটন টেস্ট ম্যাচের। ওয়েলিংটনে ৫৯৫ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এত রান করেও ৭ উইকেটে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে এর আগে এত বেশি রান কেউ-ই করেনি। এটি ছিল বছরের ক্রিকেটের প্রথম ‘শকিং’ ঘটনা।
সাকিব আল হাসানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের দেড় শ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে আনন্দ দুই দিনের মধ্যেই অস্বস্তিতে রূপ নিয়েছিল। টেস্টে প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করে হারের রেকর্ডটি ছিল ১২২ বছরের পুরোনো। ১৮৯৪ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮৬ রান করেও হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তখন ছিল ‘টাইমলেস’ টেস্টের যুগ, সাত দিন ধরে চলেছিল সে টেস্ট। তবে পাঁচ দিনের টেস্টে প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৫৭৪ রান করেও হারের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নের সে টেস্ট পাকিস্তান হেরেছিল ৯২ রানে। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে ঘাড়ে চেপে বসা সেই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি থেকে পাকিস্তানের মুক্তি মিলেছে বাংলাদেশের সুবাদে।
পরের ঘটনাটি টেনিস ভক্তদের জন্য সত্যিই পিলে চমকানো ছিল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তালিকায় ১১৭ নম্বরে থাকা ডেনিস ইস্টোমিনের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচ! ৬ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট লড়াই করেন। তবুও যে শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর!
শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটা আবার ভিন্ন একটা কারণে মনে রাখবে সবাই। ফেব্রুয়ারি মাসের ওই ম্যাচে হানা দিয়েছিল এক দঙ্গল মৌমাছি। মৌমাছির হামলার কারণেই কিনা ওয়ান্ডার্সের ওই ম্যাচটি শেষতক বিলম্বে শুরু হয়েছিল!
মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের দেয়ালে কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের একটি তৈলচিত্র টানানো ছিল। ফানিরাশের তুলিতে আঁকা ছবিটি দেখে খুশি হতে পারেননি ওয়ার্ন। বরং মনটাই ভেঙে গিয়েছিল তখন, যখন দেখলেন তাঁর হাতের বলটি স্বাভাবিকের চেয়ে খানিক বড়! ওয়ার্নের মন রক্ষা করতেই পেইন্টিংটি নামিয়ে ফেলা হয়। এরপর অবশ্য মেলবোর্নের তরফ থেকে ওয়ার্নের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছিল।
দল থেকে বাদ পড়াটা স্বাভাবিক নিয়মেই ধরা যেতে পারে। কিন্তু ওয়েইন রুনির জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াটা কী স্বাভাবিক! বছরের মে মাসের ২৫ তারিখে ইংলিশ ফুটবলের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন রুনি!
সূত্র : প্রথমআলো