Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭:দীর্ঘদিন ধরে আবদ্ধ জীবনযাপন করছে বাক প্রতিবন্ধী ৭ কিশোর। তারা নিজেদের নাম-ঠিকানা ঠিক মতো বলতে না পারায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অপরাধীদের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে এই ৭ কিশোরের নিরাপত্তা ও মানসিক বিকাশ হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এই কিশোরদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। সূত্র: সময় টিভি

বিনা অপরাধে থাকা এসব কিশোরদের উপযুক্ত স্থানে সরিয়ে নেয়ার দাবি লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের। কিশোরদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশে ৩টি শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের একটি যশোরে। খুলনা, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের ৫ জেলাসহ ৩৭ জেলায় নানা অপরাধে অভিযুক্ত শিশু-কিশোরদের ঠাঁই মেলে এই কেন্দ্রে। সংশোধনের পর পরিবারের কাছে ফেরার ব্যবস্থা করা হয় তাদের। কিন্তু বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঠিকানা জটিলতায় বিনা দোষে অপরাধীদের সঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে সাত কিশোর।

যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান সরকার বলেন, যেহেতু তারা তাদের অভিযোগগুলো সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। আমি মনে করি তাদের সবচেয়ে আশ্রয়স্থল তাদের পরিবার কাছে, কিংবা তাদের জন্য সহায়ক এমন কোনো স্থানের স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

দীর্ঘদিন ধরে আবদ্ধ অবস্থায় থাকলে এসব প্রতিবন্ধী কিশোরদের নিরাপত্তা ও মানসিক বিকাশ হুমকির মুখে পড়তে পারে মনে করেন লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের এই আইনজীবী।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহা বেগম বলেন, অপরাধীদের সাথে থাকলে এদের মানসিক বিকাশ ভীষণভাবে বিপর্যস্ত হবে। বিনা অপরাধে থাকা এসব কিশোরদের দ্রুত উপযুক্ত স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. শাহাউদ্দিন বলেন, তাদেরকে এই সমস্ত মানুষের সঙ্গে রাখা নিরাপদ নয় বলে, আমরা তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তাদের পরিবারের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় মিডিয়া সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করি। যদি এরপরও তাদের খোঁজ না পাওয়া যায়, তাদের কোনো প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে অনুমতি চাইবো।

সাত কিশোরের মধ্যে ৪ জন উন্নয়ন কেন্দ্রে এবং বাকি ৩ জন আদালতে হাজিরা দিতে বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।