Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭:শীতকালে প্রতিদিন গায়ে রোদ লাগানো উচিত। আসলে এই সময় ঠান্ডার কারণে পেশী স্টিফ হয়ে যায়। বড় যন্ত্রণার হাত থেকে কি এই শীতে বাঁচতে তাহলে সূর্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিতে হবে। তার আগে সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করতে হবে। সেই সঙ্গে জয়েন্ট, ঘাড় এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, আজকাল এমনটা আর কেউ করেন না।

বর্তমান সময় সারা শীতকালজুড়ে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি জনিত সমস্যা মারাত্মকভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আসলে ঠান্ডার কারণে বেশিরভাগের শরীরেই এই সময় সূর্যালোক লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই শীতকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদ পোয়াতে হবে। একদিকে যেমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে, তেমনি মিলবে আরও অনেক উপকার। ইমিউন সিস্টেম যত শক্তিশালী হবে, তত নানাবিধ সংক্রমক রোগ দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।

প্রতিদিন সকালে কিছু সময় সূর্যের আলো গায়ে লাগতে দিন। এমনটা করলে শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা এবং গামা গ্লোবিউলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। শরীরের ভেতর থেকে চাঙ্গা করে এবং ত্বককে সুন্দর কোরে তোলে। টানা চার সপ্তাহ অল্প সময়ের জন্য সূর্যের আলো গায়ে লাগালে সোরিয়াসিস সহ একাধিক ত্বকের রোগ সেরে যায়। ব্রেস্ট, কোলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সূর্যালোকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে ফেলতেও সূর্যের আলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে সকাল বেলা সূর্য়ের আলো গায়ে লাগানোর চেষ্টা করবেন। যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা কাল থেকেই সূর্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। এমনটা করলে দেখবেন রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হবে।একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে সূর্য়ের আলো গায়ে লাগলে আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মনকে ভাল করে দেয়। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও দূর করে।  সূর্যোদয়ের পর পরই সেই আলো শরীরে লাগলে মানসিক চাপ, শারীরিক ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর হয়ে। ৭. মাল্টিপল স্কলোরোসিস মতো রোগের প্রকোপ কমে ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

প্রতিদিন সকালে রোদ গায়ে মেখে ১ ঘন্টা বাইরে বসে থাকুন। তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে নানাবিধ হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। সূর্যালোক। তাই তো কিছু সময় রোদে কাটালে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে দেহের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় সূর্যের আলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরলকে স্টেরয়েড এবং সেক্স হরমোনে রূপান্তরিত করে দেয়।

ফলে খারাপ উপাদানও শরীরের উপকারে লেগে যায়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূরে থাকেস্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় সূর্যালোক মস্তিষ্কে একাধিক উপকারি কেমিকেলের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্যের সঙ্গে কাটানো উচিত। এমনটা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়! সূত্র: বোল্ডস্কাই