খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৮: বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণে বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ২.৭ ভাগ। এর মধ্যে শুধু বায়ু দূষণে ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকার। দূষণের সবচেয়ে বেশি শিকার দরিদ্র মানুষ ও শিশুরা। বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সমীক্ষা-২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চিত্র। সূত্র: ডিবিসি নিউজ টিভি
আর রাজধানীর চারপাশের কয়েক হাজার ইটভাটার ধোঁয়া প্রতিনিয়ত বিষাক্ত করে তুলেছে ঢাকার বাতাস। সেই বিষাক্ত বাতাস প্রবেশ করছে মানব শরীরে।
ঢাকা শহরে শুধু গাড়ির ধোঁয়া থেকে বছরে প্রায় তিন হাজার ৭০০ টন বস্তুকণা বাতাসে ছড়াচ্ছে। বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম ধূলিকণা ভেসে বেড়াচ্ছে যা সহনীয় মাত্রার পাঁচ গুণ।
বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ পরিবেশ সমীক্ষা-২০১৭ বলছে, বায়ু দুষণের জন্য ইটভাটা ৩৪ ভাগ দায়ী। মোটরযান দায়ী ১৮ ভাগ। রাজধানীতে বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরিব মানুষ ও শিশুরা। রাজধানীর ৫৯টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে, যা তীব্র মাত্রায় সিসা-আক্রান্ত।
বায়ুদূষণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণা বেশি আছে, এমন মেগাসিটির তালিকায় ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ১০ বছরে বেড়েছে শতকরা আশি ভাগ।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক বশীর আহাম্মদ জানায়, বায়ু দূষণের শিকার হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা।
বাপার সভাপিত আবদুল মতিন মনে করছেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
আর দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনবল সংকটকে দায়ী করলেন পরিবেশ অধিদপ্তর’র পরিচালক জিয়াউল হক।