Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে আরো ২৫ জনকে খুঁজছে সিআইডি। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সহযোগিতায় জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এই সব শিক্ষার্থীর নাম তদন্তে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির একজন পদস্থ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রসহ ২১ জন কারাগারে আছেন। কয়েকজন নিজেদের শিশু বলে আদালতে দাবি করেছেন।

এদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামি জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এই চারজনই গ্রেপ্তারের পর নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তাদের ৩জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৫ আসামিই আদালতে নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা অনেকের নাম বলেছেন। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানজিল, বিকেএসপির সহকারী পরিচালক (বরখাস্ত) অলিপ বিশ্বাস, অলিপের ভাই উৎপল ও জেনিথ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হিসেবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সরবরাহ করেন। এই ডিভাইস নিয়ে হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা তাদের কাছে প্রশ্নপত্র পাঠান। চক্রের অন্য সদস্যরা দ্রুত উত্তরপত্র তৈরি করে আবার সেসব পরীক্ষার্থীর কাছে সরবরাহ করেন।

অন্যদিকে, গত সোমবার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র সজীব আহমেদ। তিনি আদালেতে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুরের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন তিনি। পরে তা বিক্রি করে ১৬ লাখ টাকা পান। খান বাহাদুরকে দেন ১০ লাখ টাকা। সূত্র: প্রথম আলো