খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৮: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে র্যাব-১১ এর ডিএডি মনির হোসেন চৌধুরী বাদি হয়ে রামগতি থানায় এ মামলা করেন। এতে তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও রামগতির চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শেখ ফরিদ ওরফে ফরিদ কমান্ডারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলায় পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতংকে রয়েছে। অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার কার্যত চরগাজীর হাট-বাজারগুলো পুরুষশূণ্য হয়ে পড়ে।
র্যাব সূত্র ও থানা পুলিশ জানায়, র্যাবের একটি টিম তথ্য সংগ্রহ করতে মোটর সাইকেল যোগে চরগাজী ইউনিয়নে যায়। এসময় সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে র্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম, কনস্টেবল শাখাওয়াত, সৈনিক শাহীন ও ইসহাক আহত হয়। তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় তাদের (র্যাব) ব্যবহৃত দুইটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল ছুটে যান র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক নরেশ চাকমা ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র্যাব আশপাশ এলাকায় অভিযান চালায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি উপকূলীয় মেঘনা নদী, চরগাজী ও আশপাশ এলাকায় আতংক হিসেবে পরিচিত।
এ ব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। তবে রাত সাড়ে ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।