Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮: অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভাগ্য। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আইনি জটিলতা দূর করতে না পারলে ডিএনসিসির ভাগ্য কোন দিকে যাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। মেয়রের পরিবর্তে প্রশাসক দিয়েই সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

আলাদা দুটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় ভোটার তালিকা হালনাগাদের আগে এই তফসিল কেন অবৈধ নয়।

এই অবস্থায় নির্বাচন বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশন আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দায়ী করে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলেন, আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে না পারলে আরো জটিলতায় পড়বে এ নির্বাচন। সেক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের বিকল্প থাকবে না। সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখায়াত হোসেন বলেন, তিন মাসের মধ্যে এই নির্বাচন না হলে নির্বাচন আধো হবে কি-না তা নিয়ে মানুষের মনে ক্রমে সন্দেহের ধানা বাঁধবে। নির্বাচন কমিশনের এই পুরো বিষয়ে নিয়ে আপিল বিভাগে যাওয়া উচিত। তারপর আদালতের উপর ছেড়ে দিতে হবে। আর আদালত কী করে সেটা দেখা যাবে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড.তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনের বিকল্প হওয়া উচিত হবেও না। কেননা এখানে নতুন ১৮টা ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। এর মানে তারা বৈধ এবং সিটি করপোরেশনের আওতায় এসেছে তারা।

তিনি আরও বলেন, তবে এখন নির্বাচন কমিশন নতুন নির্বাচিতদের মেয়াদটা ঠিক করতে হবে। তার না হলে প্রত্যেকটা বছরে এই বিষয়টা লেগে থাকবে। এছাড়াও ভোটার তালিকা এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন করে দিতে পারে।

এদিকে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরেই এবিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন।

সূত্র: সময়