খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করতে আজ স্পিকারের অনুমতি চাইবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। স্পিকারের সঙ্গে সিইসির দেখা করার অনুমতি চেয়ে জাতীয় সংসদ সচিবের কাছে গতকাল একটি চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব। স্পিকার অনুমতি দিলেই আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখনো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঠিক হয়নি। কিন্তু কিছু গণমাধ্যমে আইনমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তবে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকাল বৈঠকে তফসিল ঘোষণার দিন ঠিক হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। তিনি বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। তাই ভোট হতে হবে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী একজন হলে কোনো ভোট হবে না। প্রার্থী একাধিক হলে ভোট হবে। সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে প্রস্তাবক ও সমর্থক দুজনকেই হতে হবে সংসদ সদস্য। কোনো সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে তার সদস্য পদ বিলুপ্ত হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ মেয়াদে ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন রাষ্ট্রপতি। সিইসি থাকেন নির্বাচনী কর্মকর্তা। আইনটির সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। একক প্রার্থী হলে ও পরীক্ষায় মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। প্রার্থী দুজন হলে নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবেন।
আইন অনুযায়ী, প্রার্থী একাধিক হলে নির্বাচনী কর্মকর্তা অধিবেশন কক্ষেই ভোটের আয়োজন করবেন। সংসদ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে নিজের স্বাক্ষর দিয়ে জমা দেবেন।