খােলা বাজার২৪। শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮: মো: রাসেল মিয়া: আমাদের এই বাংলাদেশে কেউ শখের বসে আবার কেউ বা বানিজ্যিক ভাবে বিদেশী ফলের চাষাবাদ শুরু করেন। এতে পরীক্ষা মূলক সফলতা পেয়ে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করেন। নরসিংদীতে এখন স্টবেরি, মাল্টা, আঙুর ড্রাগন ফলের মতো বিদেশী ফলের বানিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে রকমেলন নামে আরো একটি বিদেশী ফল। কারন দোশের মাটিতে ফলটির পরীক্ষামূলক আবাদে সফলতার কথা জানিয়েছে নরসিংদী কৃষি বিভাগ। ফলে অচিরেই রকমেলেন বানিজ্যিক আবাদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টিরা। নরসিংদী কৃষি বিভাগের দাবি, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া রকমেলন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রথমবারের পরীক্ষামূলক আবাদেই মিলেছে সফলতা। তাই আশা করা হচ্ছে, এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ফলনটির বানিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করা যেতে পারে। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, নরসিংদীতে বিদেশী ফল চাষে এরই মধ্যে সফলতা এসেছে। কিন্তু সঠিক ভাবে বাজারজাত না হওয়ায় বিদেশী ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ এখন ও কিছুটা কম।তবে স্থানীয় বাজারে মাল্টাম, রাবুটান ও ড্রাগন ফলের চাহিদা থাকায় এগুলোর প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কৃষি বিভাগের আশা, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে ও বাজারজাতকরণ সহজ হলে রকমেলন আবাদেও তারা আগ্রহী হবেন।
নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি উপসহকারী মোশারফ হোসেন জানায়,২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে মাত্র ১০-১২টি রকমেলনের বীজ আনা হয়। এ বীজ সদর উপজেলার পাইকারচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে বপন করা হয়। এর মধ্যে আটটি বীজ থেকে চারা হলেও বৃষ্টির কারণে মাত্র পাঁচটিতে ফল ধরে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ফলের ওজন ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম হয। ফলগুলোর ভেতরের রঙ দুই ধরনের , কমলা ও হলুদাভ। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল ধরার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই তা পরিপক্ক হয়। আর ফল ধরার এক মাসের মাথায় গাছটি মারা যায়। কৃষি বিভাগ আরো জানান, এ দেশের আবহাওয়া অনুয়ায়ী রকমেলন চাষের জন্য ডিসেম্বর মাসই উত্তম। ফলটি আবাদে ড্রামে বেড তৈরি করতে হয়। আর সঠিক ভাবে মাটি তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক ভাবে মাটি তৈরি না করা গেলে গাছ ছোট থাকতেই গাছ ঢলে পড়া ও মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাটি তৈরি করার জন্য কম্পোস্ট বা ভার্মি সারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ টিএসপি, এক মুটো পটাশ, দুই মুটো ইউরিয়া, এক কেজি কোকো ডাস্ট ও ৫০ গ্রাম বোরন মিশ্রিত শুকনা মটির বেড তৈরি করতে হয়। তাছাড়া রকমেলনের জন্য মাচা তৈরি করা ও জরুরী। মাটি থেকে আনুমানিক ৫ ফুট উচুতে মাচা তৈরি করতে হয় । রকমেলন আবাদে রোদ ও অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। রকমেলন চাষী মোস্তাফিজুর রহমান বলে পরীক্ষা মূলক ভাবে আবাদে রকমেলন গাছে ফলন দেখে আমি খুশি। এলাকাবাসি প্রতিদিনই এ বিদেশী ফল দেখতে বীর জমায়। আগামিতে আমি আরও বড় পরিষরে আবাদের চিন্তা করছি। নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আবদুল হাই জানান, বর্তমানে সদর উপজেলা মুস্তাফিজুর রহমান সহ ৫ জন কৃষক এফল চাষ করছেন। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ফলটি জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
নরসিংদীতে রকমেলন ফল চাষে পরীক্ষা মূলক সফলতা
মো: রাসেল মিয়া: আমাদের এই বাংলাদেশে কেউ শখের বসে আবার কেউ বা বানিজ্যিক ভাবে বিদেশী ফলের চাষাবাদ শুরু করেন। এতে পরীক্ষা মূলক সফলতা পেয়ে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করেন। নরসিংদীতে এখন স্টবেরি, মাল্টা, আঙুর ড্রাগন ফলের মতো বিদেশী ফলের বানিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে রকমেলন নামে আরো একটি বিদেশী ফল। কারন দোশের মাটিতে ফলটির পরীক্ষামূলক আবাদে সফলতার কথা জানিয়েছে নরসিংদী কৃষি বিভাগ। ফলে অচিরেই রকমেলেন বানিজ্যিক আবাদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টিরা। নরসিংদী কৃষি বিভাগের দাবি, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া রকমেলন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রথমবারের পরীক্ষামূলক আবাদেই মিলেছে সফলতা। তাই আশা করা হচ্ছে, এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ফলনটির বানিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করা যেতে পারে। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, নরসিংদীতে বিদেশী ফল চাষে এরই মধ্যে সফলতা এসেছে। কিন্তু সঠিক ভাবে বাজারজাত না হওয়ায় বিদেশী ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ এখন ও কিছুটা কম।তবে স্থানীয় বাজারে মাল্টাম, রাবুটান ও ড্রাগন ফলের চাহিদা থাকায় এগুলোর প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কৃষি বিভাগের আশা, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে ও বাজারজাতকরণ সহজ হলে রকমেলন আবাদেও তারা আগ্রহী হবেন।
নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি উপসহকারী মোশারফ হোসেন জানায়,২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে মাত্র ১০-১২টি রকমেলনের বীজ আনা হয়। এ বীজ সদর উপজেলার পাইকারচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে বপন করা হয়। এর মধ্যে আটটি বীজ থেকে চারা হলেও বৃষ্টির কারণে মাত্র পাঁচটিতে ফল ধরে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ফলের ওজন ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম হয। ফলগুলোর ভেতরের রঙ দুই ধরনের , কমলা ও হলুদাভ। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল ধরার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই তা পরিপক্ক হয়। আর ফল ধরার এক মাসের মাথায় গাছটি মারা যায়। কৃষি বিভাগ আরো জানান, এ দেশের আবহাওয়া অনুয়ায়ী রকমেলন চাষের জন্য ডিসেম্বর মাসই উত্তম। ফলটি আবাদে ড্রামে বেড তৈরি করতে হয়। আর সঠিক ভাবে মাটি তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক ভাবে মাটি তৈরি না করা গেলে গাছ ছোট থাকতেই গাছ ঢলে পড়া ও মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাটি তৈরি করার জন্য কম্পোস্ট বা ভার্মি সারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ টিএসপি, এক মুটো পটাশ, দুই মুটো ইউরিয়া, এক কেজি কোকো ডাস্ট ও ৫০ গ্রাম বোরন মিশ্রিত শুকনা মটির বেড তৈরি করতে হয়। তাছাড়া রকমেলনের জন্য মাচা তৈরি করা ও জরুরী। মাটি থেকে আনুমানিক ৫ ফুট উচুতে মাচা তৈরি করতে হয় । রকমেলন আবাদে রোদ ও অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। রকমেলন চাষী মোস্তাফিজুর রহমান বলে পরীক্ষা মূলক ভাবে আবাদে রকমেলন গাছে ফলন দেখে আমি খুশি। এলাকাবাসি প্রতিদিনই এ বিদেশী ফল দেখতে বীর জমায়। আগামিতে আমি আরও বড় পরিষরে আবাদের চিন্তা করছি। নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আবদুল হাই জানান, বর্তমানে সদর উপজেলা মুস্তাফিজুর রহমান সহ ৫ জন কৃষক এফল চাষ করছেন। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ফলটি জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
নরসিংদীতে রকমেলন ফল চাষে পরীক্ষা মূলক সফলতা
মো: রাসেল মিয়া: আমাদের এই বাংলাদেশে কেউ শখের বসে আবার কেউ বা বানিজ্যিক ভাবে বিদেশী ফলের চাষাবাদ শুরু করেন। এতে পরীক্ষা মূলক সফলতা পেয়ে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করেন। নরসিংদীতে এখন স্টবেরি, মাল্টা, আঙুর ড্রাগন ফলের মতো বিদেশী ফলের বানিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে রকমেলন নামে আরো একটি বিদেশী ফল। কারন দোশের মাটিতে ফলটির পরীক্ষামূলক আবাদে সফলতার কথা জানিয়েছে নরসিংদী কৃষি বিভাগ। ফলে অচিরেই রকমেলেন বানিজ্যিক আবাদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টিরা। নরসিংদী কৃষি বিভাগের দাবি, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া রকমেলন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রথমবারের পরীক্ষামূলক আবাদেই মিলেছে সফলতা। তাই আশা করা হচ্ছে, এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ফলনটির বানিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করা যেতে পারে। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, নরসিংদীতে বিদেশী ফল চাষে এরই মধ্যে সফলতা এসেছে। কিন্তু সঠিক ভাবে বাজারজাত না হওয়ায় বিদেশী ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ এখন ও কিছুটা কম।তবে স্থানীয় বাজারে মাল্টাম, রাবুটান ও ড্রাগন ফলের চাহিদা থাকায় এগুলোর প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কৃষি বিভাগের আশা, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে ও বাজারজাতকরণ সহজ হলে রকমেলন আবাদেও তারা আগ্রহী হবেন।
নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি উপসহকারী মোশারফ হোসেন জানায়,২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে মাত্র ১০-১২টি রকমেলনের বীজ আনা হয়। এ বীজ সদর উপজেলার পাইকারচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে বপন করা হয়। এর মধ্যে আটটি বীজ থেকে চারা হলেও বৃষ্টির কারণে মাত্র পাঁচটিতে ফল ধরে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ফলের ওজন ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম হয। ফলগুলোর ভেতরের রঙ দুই ধরনের , কমলা ও হলুদাভ। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল ধরার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই তা পরিপক্ক হয়। আর ফল ধরার এক মাসের মাথায় গাছটি মারা যায়। কৃষি বিভাগ আরো জানান, এ দেশের আবহাওয়া অনুয়ায়ী রকমেলন চাষের জন্য ডিসেম্বর মাসই উত্তম। ফলটি আবাদে ড্রামে বেড তৈরি করতে হয়। আর সঠিক ভাবে মাটি তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক ভাবে মাটি তৈরি না করা গেলে গাছ ছোট থাকতেই গাছ ঢলে পড়া ও মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাটি তৈরি করার জন্য কম্পোস্ট বা ভার্মি সারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ টিএসপি, এক মুটো পটাশ, দুই মুটো ইউরিয়া, এক কেজি কোকো ডাস্ট ও ৫০ গ্রাম বোরন মিশ্রিত শুকনা মটির বেড তৈরি করতে হয়। তাছাড়া রকমেলনের জন্য মাচা তৈরি করা ও জরুরী। মাটি থেকে আনুমানিক ৫ ফুট উচুতে মাচা তৈরি করতে হয় । রকমেলন আবাদে রোদ ও অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। রকমেলন চাষী মোস্তাফিজুর রহমান বলে পরীক্ষা মূলক ভাবে আবাদে রকমেলন গাছে ফলন দেখে আমি খুশি। এলাকাবাসি প্রতিদিনই এ বিদেশী ফল দেখতে বীর জমায়। আগামিতে আমি আরও বড় পরিষরে আবাদের চিন্তা করছি। নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আবদুল হাই জানান, বর্তমানে সদর উপজেলা মুস্তাফিজুর রহমান সহ ৫ জন কৃষক এফল চাষ করছেন। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ফলটি জনপ্রিয়তা লাভ করবে।