খােলা বাজার২৪। রোববার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮: স্বাস্থ্য রক্ষায় আমরা এখন অনেক সচেতন ও বিজ্ঞানমনস্ক। মেদবহুল বা স্থূলতা এখন তাই সামাজিক সমস্যার চেয়ে স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
মেদবহুলতা : অতিরিক্ত ওজন ও স্নেহ পদার্থের আধিক্যকে সাধারণভাবে মেদবহুলতা মনে করা হয়। এর পরিমাপ হলো বডি-মাস-ইনডেক্স বা সংক্ষেপে বিএমআই। বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২২.৯-এর ভেতর থাকাটা বাঞ্ছনীয় বা আদর্শ। যাদের বিএমআই ২৭.৫-এর ওপরে তারা স্থূল/মেদবহুল। পক্ষান্তরে যাদের বিএমআই ২৩-২৭.৪-এর মধ্যে তারা অতিরিক্ত ওজনদার বা ওভারওয়েট। অন্যভাবে বলা যায়, উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজনকে ১০০ শতাংশ ধরা হলে, যাদের ওজন আদর্শ ওজনের ১০১ থেকে ১১৯ শতাংশের মধ্যে তাদের রয়েছে ‘অতিরিক্ত ওজন’ এবং যাদের ১২০ শতাংশের ওপরে তারা স্থূল। সাধারণত মানবদেহে দুই ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হয়।
প্রথমত, অতিরিক্ত চর্বি নিতম্ব ও ঊরুদেশে জমা হয়। একে ‘গাইনয়েড ডিস্ট্রিবিউশন’ বলে। এতে শরীরের আকৃতি অনেকটা নাশপাতির মতো হয়। এটা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।
দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ পেটে জমা হয়, যা দেহকে আপেলের মতো আকৃতি দান করে। অর্থাৎ উদরদেশ স্ফীত হয়। একে ‘অ্যান্ড্রয়েড ডিস্ট্রিবিউশন’ বলে। মূলত এটা নারী-পুরুষ উভয়ের মাঝেই দেখা যায় এবং এ ধরনের স্নেহ পদার্থের সঞ্চয় আমাদের রোগের ঝুঁকি বহন করে।