Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮: ভারতে এবছর পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সবজি বিক্রির টাকায় হাসপাতাল গড়া সুভাষিণী মিস্ত্রি। পয়সার অভাবে স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর জীবন পণ করেছিলেন জোকার হাঁসপুকুরের সুভাষিণী মিস্ত্রি। সবজি বিক্রি করে একসময় বানিয়ে ফেলেন হাসপাতাল। আশি ঊর্ধ্ব সেই বাঙালি মহিলাই এবার পেতে যাচ্ছেন পদ্মশ্রী। সুভাষিণী মিস্ত্রির পাশাপাশি কেন্দ্রের এই সম্মান পাচ্ছেন রাজ্যের আরও চারজন।

দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। হাসপাতালের খরচ জোগাতে না পারায় বাঁচানো যায়নি স্বামীকে। অন্ধকার নেমে এসেছিল হাঁসপুকুরের সুভাষিণী মিস্ত্রির জীবনে। অনটনের সংসার। সন্তানদের মুখে দুবেলা খাবার জুটছে না। কারও কাছে সাহায্য চাইলে জুটছে বঞ্চনা। এই অবস্থায় অদম্য জেদ সঙ্গী করে শুরু হয় সুভাষিণীর লড়াই। ধাপার মাঠ থেকে সবজি তুলে তা বিক্রি করতে শুরু করলেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে না পেরে রেখে এলেন অনাথ আশ্রমে। সেখানে পড়াশোনা করেই চিকিৎসক হন বড় ছেলে অজয় মিস্ত্রি।

স্বপ্নের এক ধাপ পার হন সুভাষিণী মিস্ত্রি। শপথ নেন, সাধারণ মানুষের আরও কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পৌঁছে দেবেন, যাতে কাউকে আর তাঁর স্বামীর মত অকালে চলে যেতে না হয়। ২০ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ে, জমিয়ে রাখা টাকা দিয়ে জমি কেনেন। সেখানেই ১৯৯৩ সালে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়। অনুদানের টাকায় শেষমেষ তিন বছর পর গড়ে ওঠে হিউম্যানিটি হসপিটল। প্রায় বিনামূল্যে যেখানে চিকিৎসা পান কয়েকশো রোগী। হাঁসপুকুর ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সুভাষিণীর নাম। যে নাম এবার উঠছে পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকাতেও।