খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮: মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যরা আসন নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে নারী আন্দোলনে একবারে স্পষ্ট ছিল নারী সংসদের আসন সংরক্ষিত হোক কিন্তু নির্বাচিতটা সরাসরি করা হোক। যেটা আমার অধিকার, মর্যাদার সাথে জড়িত সেই জায়গায় আনুকূল্যের কাছে আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হচ্ছি।
পারমিতা হিমে’র সঞ্চালনায় সময় টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়’তে ‘আইন ও সংবিধান’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। আইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বাংলাদেশ তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যরা আসন নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে নারী আন্দোলনের বিষয়ে একবারে স্পষ্ট ছিল। নারী সংসদের আসন সংরক্ষিত থাক কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হোক। যেটা আমাদের অধিকার ও মর্যাদার সাথে জড়িত। সেই জায়গায় আনুকূল্যের কাছে আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হচ্ছি। সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্যরা যেভাবে আসেন তারা যদি দলকে খুশি করতে পারেন, কোন না কোন ভাবে দলকে বোঝানো গেলে হল। আমি তাদের লোক দলের কথা মেনে কাজ করব। তখনই সেসকল নারীদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষিত নারী আসনে। আর সব কিছু নির্ধারিত হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরুষ সদসদের উপর । মুখে বলা হয়, একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য তিনটি আসনে প্রতিনিধিত্ব করছে। এলাকায় কোন কাজ করতে গেলে কিন্তু সেই সকল পুরুষ এমপিদের কথা মেনে কাজ করতে হচ্ছে। নারী সংসদরা প্রতিবাদ করতে পারে না। কারণ তারা যে ভিতের উপর দাড়িয়ে আছে। তা নিয়ন্ত্রণ করে পুরুষরা। সেজন্য তাদের অবস্থানটাকে দৃঢ় করতে পারছে না। আর এতে নারী ক্ষমতায়কে একটা অবনিমিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যেকোন নারীকে অনবরত চিন্তা করতে হয়। আমি যেখানে আছি। সেখানে আমি নিজের জোরে নাই, অন্যের জোরে আছি। তাহলে পরনিভর হয়ে কি করে সংসদ সদস্য হিসেবে তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। নারীর যেমন ক্ষমতায়নের প্রত্যাশা ছিল। সেভাবে হয়নি। কেনো হয়নি তার একটা কারণ হল রাজনীতিক দলগুলার ভেতরে আলোচনা করে। তাদের একটা অবস্থান দিয়ে অভিজ্ঞতা অজন করে। নিজেদের অবস্থার দৃঢ় করবে। সেই সুযোগ তাদেরকে এখন পযন্ত দেওয়া হয়নি।