খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: অনিশ্চয়তা কাটছে না বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলভূক্ত মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথ বা চ্যানেলের। এ গুরুত্বপূর্ণ নৌ পথের ৩১ কিলোমিটার দুরত্বের (মংলা প্রান্ত থেকে জয় খাঁ) ৫ কিলোমটারের এলাকার নদী দ্রুত ভরাট হচ্ছে। একারণে প্রতিনিয়তই ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খনন করা পলি ফেলার জায়গা না পাওয়ায় একই জায়গায় এই বালি জমিয়ে রাখতে হচ্ছে। ১৫টি ডাইকে (মাটি রাখায় জায়গা) ৩৫ লাখ ঘনমিটার বা ৬৭ লাখ ২৫ হাজার টন পলি জমেছে (প্রতি ঘন মিটার ১ দশমিক ৯৫ টন হিসেবে)। এগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে আপসারণ করা না হলে ড্রেজিংকাজ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিইটিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান বলেন, মংলা থেকে ঘাষিয়াখালীর দুরত্ব ৩১ কিলোমিটার হলেও মংলা প্রান্ত থেকে জয় খাঁ পর্যন্ত এলাকায় নতুন করে উত্তোলিত পালি বা বালি ফেলার কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের বিনা পয়সায় এ বালি নিতে বললেও তারা আগ্রহ দেখায়নি। ফলে এ রুটে নাব্যতা সংরক্ষণ করতে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে
তিনি বলেন, চ্যনেল থেকে উত্তোলিত বালি সরানোর জন্য আশেপাশে কোনো জায়গা পাওয়া যায়নি। একারণে নিজস্ব উদ্যোগে ৩৫ লাখ ঘনমিটার বালি সরাতে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ঘন মিটার ১৫০ টাকা হিসেবে)।
জাহাজ চলাচলের বিষয়ে ছাইদুর রহমান বলেন, পুরো রুটের এখন জোয়ারের সময়ে (১৮-২০ ফুট পানি থাকে) ৮-১২ ফিট ড্রাফটের বেশি জাহাজ চলাচল করতে পারে। কিন্তু ভাটার সময়ে (১২-১৪ ফুট পানি থাকে) এসময়ে ৮ ফিট ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে।
নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টাল ফর ইনভার্নমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফর্মেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মমিনুল হক সরকার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলভূক্ত মংলা-ঘাসিয়াখালী নৌপথ খনন করে নাব্যতা সংরক্ষণ করা কঠিন। এজন্য সারা বছর ধরে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।