খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার জলাভূমি ও নদীসমূহের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নদী এবং জলাভূমিসমূহ আমাদের পরিবেশ ও অর্থনীতির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। কাজেই আমাদের পরিবেশ ও অর্থনীতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্যও আমাদের এগুলিকে দূষণমুক্ত করা উচিত। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব আইইউসিএন আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা সকলে এ বিষয়টি জানি। কিন্তু সাধারণ জনগণের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আরো ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনসমূহ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। আপনারা জানেন পরিবেশ বিষয়ে ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গৃহীত পদক্ষেপসমূহের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। যে সমস্ত নদী দূষণের শিকার হচ্ছে সেই নদীগুলোর পাড়ে ব্যাপক আকারে ইটিপি স্থাপন করা যায় কি না সে ব্যপারে আমরা চিন্তা করছি। আশা করি আমাদের এ চিন্তার প্রতিফলন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের কাজে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।
বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, একসময় জার্মানীর রাইন নদী এবং ইংল্যান্ডের টেমস নদীও দূষণের শিকার হয়েছিল। সেখানে এখন অবস্থার এত উন্নতি হয়েছে যে ওই নদীগুলোর পানি পান করা যায়। আমরাও সেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যদিও এ অবস্থার উন্নতির জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন, তবে মোটেই অসাধ্য নয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব আইইউসিএন মেম্বারর্স-এর চেয়ার হাসনা জসিমউদ্দীন মওদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইউসিএন-এর ভাইস চেয়ার ড. নিলুফার বানু। ‘কী-নোট’ পেপার উপস্থাপন করেন ড. মো. মোখলেসুর রহমান ও ড. আবদুর রব মোল্লা।