খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বেআইনীভাবে বন্ধ ঘোষিত আশিয়ানা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের আলোচনায় ডেকে গতকাল ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বিজিএমইএ ভবনে তাদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। এ ঘটনায় শতাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক আহত হয়।
আজ এক বিবৃতিতে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল থেকে মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এবং বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে, শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অসন্তোষ সমাধানের লক্ষ্যে গত ৩০ জানুয়ারি শ্রমিক প্রতিনিধি, গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র নেতৃবৃন্দকে ডেকে স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং মালিকপক্ষ গতকাল ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনে আলোচনার জন্য আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানে গতকাল বিজিএমইএ ভবনে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়েছিল। সকাল থেকেই শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। দীর্ঘ অপেক্ষার এক পর্যায়ে সমাবেশ শুরু করলে বিজিএমইএ-র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদের নেতৃত্বে সমাবেশের উপর হামলা চালিয়ে মাইক্রোফোনের তার ছিড়ে ফেলা এবং ব্যানার কেড়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ভবনের ভেতর থেকে শতাধিক ব্যক্তি লোহার রড ও লাঠি শোঠাসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এসময় মাইক ও বহনকারী রিকশা ভাংচুর করা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এমন সময় এই হামলার ঘটনা পরিকল্পিত এবং মজুরি বৃদ্ধির প্রসঙ্গকে ভিন্ন প্রবাহিত করার অপচেষ্টা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বহু বছর থেকে আমরা বিজিএমইএতে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে যাই। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়। ঘেরাওসহ আরো কঠোর কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে নাই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আলোচনায় ডেকে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ না করে হামলা করে শ্রমিকদের আহত করা ন্যাক্কারজনক। হামলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ একইসাথে অবিলম্বে বেআইনীভাবে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া এবং সকল অন্যায় চাকুরিচ্যুতি আদেশ প্রত্যাহার করা এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করে শিল্পে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার দাবি জানান।