Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল। তবে নতুন প্রধান সালাউদ্দিন আহমেদ ওরফে সালাউদ্দিন সালেহিন এবং জাহিদুল ইসলাম ওরফে ‘বোমা’ মিজারের নেতৃত্বে নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে তারা। তবে আগের মতো নয়, এখন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সালাউদ্দিন। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য হতে পারে বৌদ্ধদের উপাসনালয়। এজন্য নব্য জেএমবি পশ্চিমবঙ্গেই কমপক্ষে সাতটি মডিউল তৈরি করেছে। এর প্রতিটিতে আছে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য।
গত আট মাসে মুর্শিদাবাদে এমন কমপক্ষে পাঁচটি ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে। এসটিএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে এখন অনেক বেশি প্রমাণ রয়েছে যে, প্রায় সাত মাস আগে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়া সফর করেছে সালাউদ্দিন। সিমুলিয়া-খাগড়াগড়-মোকিমনগর মডিউলের পুরনো অংশের কিছু পুরনো সদস্য ছিল তার সঙ্গে। ওই মডিউলটি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এসব কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জেএমবির যেসব সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মো. পয়গম্বর শেখ (২৪)। এসটিএফের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাকে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা ধুলিয়ায় একটি বাড়ি ঘেরাও করি। ওই বাড়িটির মালিককে বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক বানানোর বিভিন্ন ডিভাইস সংগ্রহে রাখতে বলেছিল পয়গম্বর শেখ। তবে ওই বাড়ির মালিককে আটক করা যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি থেকে এসটিএফ অভিযান চালিয়ে চার বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেছে। যার ওজন ২০০ কেজি। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে উদ্ভট রকমের ৫০টি বিস্ফোরক, টাইমার, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সকেট ও টিফিন বক্স। এসব ব্যবহার করে বানানো হতো টিফিন-বক্স বোমা। এ রকম বোমাই হামলা করা হয়েছিল বোধগায়া’য়। আমরা মনে করি বোধগায়া’য় যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল তা এখান থেকে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং এই মডিউলের সদস্যরা তা স্থানান্তর করেছিল। ওদিকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সদস্যরা বুধবার নব্য জেএমবি সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধারণা করা হয়, ১৯শে ডিসেম্বর দালাইলামা বোধগায়া সফর করেন। তারপর সেখানে যে বোমা হামলা হয়েছিল তাতে জড়িত ছিল এরা। তারা দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তারা স্বীকার করেছে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা ও নির্যাতনের বদলা নিতে এ হামলা করেছে। পুলিশের সন্দেহ আকা মুল মুজাহিদীনের (এএমএম) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে জেএমবি। মানবজমিন