Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বিএনপি’র সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, মামলার রায় নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের থেকে বলা হচ্ছে এতিমের টাকা চুরি করা হয়েছে। বারবার এই কথা যখন দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতার কেউ বলে থাকেন। তখন তার একটা প্রভাব আদালতের উপর আসে। সুতরাং রাষ্ট্রের কোন সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বে থাকে। তাকে যেকোন বিষয় নিয়েই সংযত হয়ে কথা বলা উচিত।

এহসান জুয়েলে’র সঞ্চালনায় সময় টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়তে ‘রায় ও রাজনীতি’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায় ও যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আখতার।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বেগম জিয়ার মামলাটি হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। যেটিকে আমরা মাইনাস টু ফর্মুলা বলে থাকি। সেসময় দুই বড় দেশের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আাসার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে কমিটি গঠন করে মামলা গুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ ছিলো মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। সেখানে আমাদের নেত্রীর মামলা তো কমেনি। বরং বেড়েছে। আরও অসংখ্য মামলা হয়েছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় কোন সাক্ষীই তার নাম বলেনি। সুতরাং বোঝা যায় মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে পরিচালিত হচ্ছে। সেটি আরও স্পষ্ট হয় যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন কোন রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। সদ্য বিদায়ী আইজিপি বিএনপিকে বলেছেন রায় মেনে নেওয়ার জন্য। একজন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে লোক কি করে এমন কথা বলেন? রায় কি হবে উনি কি করে জানেন? তিনি তো খালাসও পেতে পারেন। রায়ের পরে বিএনপি মিষ্টিও খেতে পারে। কেনো আমরা বারবার ভুলে যাচ্ছি মামলায় একটি সাক্ষ্য প্রমাণ নেই। মামলায় তিনি খালাস পেয়েও যেতে পারেন। এমনটি হতে পারে। তাহলে বিশৃঙ্খলার প্রশ্ন কেনো আসে? আবার রায় মেনে নেবার কথাই বা কেনো আসে? রায় নিয়ে সরকার দলের নেতারাসহ জাতীয় পার্টির নেতারাও বিভিন্ন মন্তব্য করছে। খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে, সাজা খাটতেই হবে, আমরা যেভাবে জেল খেটেছি। তাকেও জেল খাটতে হবে। আমাদের দুঃখ লাগে সেখানেই, মামলার রায় এখনো হয়নি । কিন্তু সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে এতিমের টাকা চুরি করেছে। এই কথা যখন দেশের সবোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতার কেউ বলে থাকে। তখন তার একটা প্রভাব আদালতের উপর আসে। সুতরাং রাষ্ট্রের কোন সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বে থাকে। তাকে যেকোন বিষয় নিয়েই সংযত হয়ে কথা বলা দরকার।