খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। সেই হিসেবে আজ দুই বছর হতে চলেছে। কিন্তু এখন চুরি যাওয়া অর্থের সাড়ে ছয় কোটি ডলার ফেরত আসেনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেম থেকে গত ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এরমধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া ২ কোটি ডলার তাৎক্ষণিক ফেরত আসে। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত এসেছে। বাকি ৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার (৫১০ কোটি টাকা) উদ্ধার হয়নি দুই বছরেও।
রিজার্ভের টাকা উদ্ধারের বিষয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার(২০১৭-১৮অর্থবছর) সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, এখনও পর্যন্ত এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত এসেছে। আরও ১২ লাখ ডলার ফেরত আসার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর বাইরে আরও ৫ কোটি ডলার ফেরত আসার বিষয়ে আদালতের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
এছাড়া আরও ৬০ লাখ ডলার আসার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে গত ২৯ জানুয়ারি ফিলিপাইনে গেছে একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডি প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এতে রিজার্ভ অর্থ উদ্ধারে চলমান মামলাগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, রিজার্ভ চুরির অন্যতম মূল হোতা কিম অংয়ের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন এমন দুজনের অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ ডলার জব্দ রয়েছে। ফিলিপাইনের সোলায়ের ক্যাসিনোর অ্যাকাউন্টে জব্দ থাকা ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিজ থেকে ২২ লাখ ডলার ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। বিষয়টি দেশটির আদালতে বিচারাধীন।