খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ইরাকের তেল রুটের সুরক্ষায় সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির সরকারি বাহিনী। ইরাকি তেলের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত ইরান সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার দুই ইরাকি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সম্প্রতি ওই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তেল সরবরাহের রুটটি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতেই সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে হামরিন পার্বত্য অঞ্চলে এ সপ্তাহেই অভিযান শুরু হতে পারে। এই পার্বত্য অঞ্চলটি কিরকুকের তেলক্ষেত্র এবং ইরান সীমান্তের খানাকিন শহরের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইরাকের তেল দফতরের কর্মকর্তারা ট্রাকে করে ইরানের কেরমানশাহ শোধনাগারে অপরিশোধিত তেল পরিবহনের পরিকল্পনার কথা জানান।
এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইরাকি কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের জবাবে কুর্দিদের দখল থেকে কিরকুক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকি বাহিনী। সরকারি বাহিনীর অভিযান শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিভিন্ন ভবন থেকে ইরাকি কুর্দিস্তানের পতাকা সরিয়ে ইরাকের পতাকা উড্ডয়ন করে।
কুর্দিস্তানের কাছের তেলখনিগুলোর সুরক্ষায় ২০১৪ সালে কিরকুকে অবস্থান নেয় কুর্দি বাহিনী। তবে বিতর্কিত গণভোটের পর সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার। এর এক বছরের মধ্যেই এসব খনির সুরক্ষায় নতুন করে সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন