খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশ বলে প্রণীত ৩৬ বছরের পুরনো নীতিমালার আওতায় চলছে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস রেজুলেশন (অধ্যাদেশ) নামের এ নীতিমালাটি রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাতীয় সংসদকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গতকাল সোমবার এ তথ্য জানান। একইদিনে মন্ত্রী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি কিনছে সরকার।
স্বতন্ত্র এমপি মো. রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস রেজুলেশন (অধ্যাদেশ) রহিত করে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ এর আগে মন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন রাখতে গিয়ে রুস্তম আলী ফরাজী অভিযোগ করেন, আজকাল দেশের আনাচে-কানাচে অনেক ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, যেগুলোর স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা ও সেবার মান অত্যন্ত নি¤œ। কোন নীতিমালার ভিত্তিতে এসব ক্লিনিক অনুমোদিত হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ওই নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমেই স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘লাইসেন্স’ (নিবন্ধন) দেয়া হয়।
বিরোধী দলীয় সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা গতিশীল করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের গাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
সরকারি দলের রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডাক্তার, নার্সসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ৪১৪ উপজেলায় ডিজিটাল হাজিরা চালু করা হয়েছে।
সরকার দলীয় অপর সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছু রোগী বিদেশে চলে যায় কথাটি সত্য। এ প্রবণতা রোধকল্পে আমাদের দেশে উপজেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের হাসপাতালগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ওই হাসপাতালগুলোয় আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
দলের আরেক সদস্য দিদারুল আলম প্রশ্ন রাখতে গিয়ে অভিযোগ করেন, দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কিন্ডার গার্টেনের মতো বেড়ে গেছে। অধিকাংশ বেসরকারি কলেজেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সংকট রয়েছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ মান অর্জনে এখনো পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে না পারায় মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে ব্যর্থ কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কলেজগুলো মানোন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানবকণ্ঠ