খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: দুর্নীতির মামলায় বেগম জিয়ার পাঁচ বছরের জেল হওয়ায় নাজুক পরিস্থিতির আশঙ্কায় আচমকা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আতঙ্কে পর্যটক আসেনি। হঠাৎ পর্যটক না থাকায় লোকসানে পড়েছেন হোটেল মালিকরা। আগাম বুকিংয়ের ৫০ শতাংশ বাতিল করেছেন পর্যটকরা।
সূত্রমতে, গত বছরের নভেম্বরের শুরু থেকেই কক্সবাজারে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্তই পর্যটন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। সে হিসেবে প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটকে ভরপুর থাকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
এখন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এখন পর্যটক শূন্য কক্সবাজার সৈকত। খালেদা জিয়ার মামলার রায় কেন্দ্র করে আতঙ্ক বিরাজ করায় কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা। আর এতে খালি হয়ে গেছে হোটেল- মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজগুলো। আগাম বুকিং বাতিল হয়েছে ৫০ শতাংশ। পর্যটন মৌসুমে হঠাৎ করে আশাতীতভাবে পর্যটক কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সোলতান বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় কেন্দ্র করে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়াই এ অবস্থার কারণ।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরের (ট্যুয়াক) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়াহ খান বলেন, শীতের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহসহ বিভিন্ন কারণে এমনিতেই পর্যটন ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে। এরমধ্যে কিছুদিন ধরে পর্যটক আসতে শুরু হলেও খালেদা জিয়ার মামলার রায় কেন্দ্র করে হঠাৎ পর্যটক শূন্য হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায়ের রেশ ধরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায়ও পর্যটকরা ঘর ছাড়তে সাহস পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, পর্যটকসহ কক্সবাজারে অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। তাছাড়াও সমুদ্র সৈকতেও নিরাপত্তা রয়েছে অতি মাত্রায় বেশি। হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্য মতে, পর্যটন মৌসুমে ছুটির দিনগুলোতে প্রতিদিনই কক্সবাজারে ভ্রমণে আসেন কমবেশি এক লাখ পর্যটক ।