খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ৩টি বড় সিন্ডিকেট শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠা এসব চক্রের সদস্যরা মানি এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি ও জুয়েলারি ব্যবসায় যুক্ত। দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে নানা কৌশলে স্বর্ণ এনে পাচার করছে ভারতে। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
পাচার হয়ে আসা স্বর্ণ নিয়মিত জ্বদ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে। তবে যে পরিমাণ ধরা পড়ছে ভারতে পাচার হচ্ছে তার কয়েক গুণ বেশি। বাংলাদেশকে চোরাচালানের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে কয়েকটি চক্র।
ভারতে স্বর্ণ পাচারে জড়িত বেশ কটি সিন্ডিকেট শনাক্ত করে তাদের ধরতে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। জুয়েলারি, হুন্ডি ব্যবসায়ীর একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। স্মাগ্লিনের সঙ্গে এরা জড়িত। কয়েকটি গ্রুপ শনাক্ত করা হয়েছে।
সিআইডি বলেছেন, ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় মতিয়ার, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে তিনটি আলাদা সিন্ডিকেট। মতিয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন পল্টনের এক সময়ের জনশক্তি রপ্তানিকারক হুদা। তার সঙ্গে আছেন কোতয়ালীর শাজাহান, তাঁতীবাজারের অলি, আওলাদ, মজিবর, তার শ্যালক সুরুজ, বাড্ডা লিংক রোডের কবির, মওলা ও মামুন।
মোহাম্মদ আলী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক তার ছেলে রেজাউল। শ্যালক রবিউল ও ভায়রা দেলোয়ার, অন্তত ১০ জনকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে স্বর্ণ এনে পাচার করে ভারতে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেলোয়ার।
ফেনীর সোনাইমুড়ির আব্দুল বাতেন সিন্ডিকেটের সদস্য মানিক, মনির, রাসেলসহ অন্তত ১২ জন। তারা বিদেশ গিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যবহার করে স্বর্ণের চালান আনছে দেশে।
এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যোগাযোগের তথ্যও পেয়েছে সিআইডি।
সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, কে কোথায় জড়িত, রাজনৈতিকভাবে জড়িত আছে কি না, সেটা দেখছি না। আমরা দেখছি তদন্ত। তদন্তে যারা যারা আসবে তারা যে কোনো দলের, মতের হতে পারে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
স্বর্ণ চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের বেশিরভাগই হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত বলেও জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।