খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ১৯৯৩ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য উপহার দেয়া বাস থেকে কালো কালিতে মুছে দেয়া হলো বেগম জিয়ার নাম। কিন্তু হঠাৎ করেই বাসে নাম পরিবর্তনের ইচ্ছে জাগে ছাত্রলীগের।
১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাসটি প্রতিনিয়ত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরতিহীন পরিবহন করে আসছে।
সূত্র জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাজশাহী সরকারি কলেজকে একটি বাস উপহার দেন। ওই বাসটিতে লেখা ছিল রাজশাহী কলেজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপহার-১৯৯৩। সেই বাসটিতে থাকা খালেদা জিয়ার নাম মুছে দিয়ে রাহুল নামের এক যুবক লেখেন, বাংলাদেশ তথা রাজশাহী কলেজের কোন জায়গায় চোরের নাম থাকবেনা ও থাকতে পারেনা।
রোববার রাজশাহী কলেজ- ছাত্রছাত্রীদের বাস থেকে খালেদা চোর এর নাম মুছে ফেলেছেন রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয় বড় ভাই নাইমুল ইসলাম নাইম ভাই।
এদিকে এ পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথেই ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের মতে, উপহার দেয়ার কারণে নামটি মুছে ফেলার কোন প্রসঙ্গ আসে না। কোন নেতা ব্যাক্তিগত স্বার্থে যাই করুক না কেন শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য পাঠানো জিনিসের নাম মুছে ফেলা উচিত হয়নি।
তবে বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাইম বলেন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ উপর থেকে নির্দেশ না আসলে কাজ করি না। মহানগর ছাত্রলীগের নির্দেশে বাস থেকে খালেদা জিয়ার নামটি মুছে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া বা জিয়া পরিবার এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে নানা জায়গায় ভিত্তি স্থাপন করেছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস উপহার দিয়েছে। এর আগেও জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের নাম যে সকল স্থানে আছে সেগুলো পরিবর্তন করার ধারাবাহিকতায় কাজটি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তবে বিষয়টি জানতে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।