Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  চালের দামে আবারও অশনি সংকেত। এদিকে চাল নিয়ে কারসাজিতে জড়িত এমন ১শ’ মালিকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর কিছু মালিক চাল কেনার নামে ঋণ নিয়ে টাকা অন্য খাতে ব্যয় করছে বলে নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ধান, চালের ব্যবসার জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দিনাজপুর শাখা থেকে ঋণ নিয়েছিল মীর্জা অটো রাইস। সবশেষ মঞ্জুরি পদটির মেয়াদ গত বছর জুনে শেষ হলেও একই বছরের আগস্টে আবারও ১০ কোটি টাকার টাইম লোন সৃষ্টি করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এভাবে নভেম্বরে মীর্জা অটো রাইস মিলকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয় ঋণ সমন্বয়ের জন্য।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে জানা যায়, এই ঋণ নিয়ে ধান, চাল ব্যাবসায়ে ব্যবহার না করে অন্য খাতে ব্যবহার করেছে মীর্জা অটো রাইস।

ধান, চালের ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয় নিয়ে সারাদেশের ব্যাংকগুলোর এই চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে।

মীর্জা অটো রাইসের পরিচালক মিজানুর রহমান মীর্জা বলেন, এই রকম কিছু হয়নি। এটা আসলে একটা ভুল ইনফরমেশর।

অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব তদন্তে দেখা যায়, অন্তত ১’শ মিল মালিক ৫০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার পরও উল্টো চালের বাজার অস্থিতিশীল করছেন।

বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম বলেন, চালের জন্য ৫’শ, ১ হাজার ও ২ হাজার কোটি টাকাও লোন দেওয়া হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে। এই টাকাটা নিয়ে তার মজুদারি করছে। আর যে টাকা দিয়ে মজুদারি করছে আবার সেই জনগণের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, তদারকি ব্যবস্থার দূর্বলতার কারণে এখনো মিল মালিকদের কারসাজির কুফল গুনছে সাধারণ ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান,কম মজুদের অজুহাতে বার বার দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। বাড়তে শুরু করেছে মিনিকেটর মতো ১৬ চালের দাম।