Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  মঙ্গল গ্রহ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা-গবেষণা যেন চিরন্তন। যত দিন যাচ্ছে, তত যেন তা বেড়েই চলেছে। কারণ, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন পৃথিবীর উপর চাপ কমাতে, খুব তাড়াতাড়ি অন্য গ্রহে মনুষ্য বসতি গড়ে তুলতে হবে। না হলে, বিপদ ঘটবে।

মঙ্গল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ সঠিক ভাবে পাওয়া না গেলেও, সেখানকার আবহাওয়া যে পৃথিবীবাসীর জন্য অনুকূল, তা মেনে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মতো জায়গাও খোঁজা শুরু করেছে নাসার মহাকাশযান।

কিন্তু, লাল গ্রহই যদি নেমে আসে পৃথিবীর মাটিতে?
এমনিতেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর গুঁতোয় বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে প্রতি বছর। তার উপরে মঙ্গলের চাপ। কারণ, তার তাপমাত্রা প্রায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গাছগাছালির কোনও অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি তার মাটিতে। সব মিলিয়ে, বেশ চিন্তার ব্যাপার যে!

সম্প্রতি ২০০ এর বেশি মহাকাশ বিজ্ঞানী একজোট হয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা চালাচ্ছেন ওমানের ধোফার মরুতে। বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে তাঁরা সেখানে থাকবেন একটি মাস, ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ধোফার মরুর এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি নাকি মঙ্গলের মতোই। বালি ও পাথুরে এই অঞ্চলে যদিও এখানে গুটি কয়েক প্রাণী দেখা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ১৯টি পরীক্ষা চালানো হবে এই এক মাসে।

৫০ কিলোগ্রাম ওজনের স্পেস-স্যুট পরেই মরুভূমিতে এখন ঘোরাফেরা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্পেস-স্যুটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পার্সোনাল স্পেসশিপ’। কারণ এই পোশাক পরেই একজন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবে। খেতেও পারবে। এমনকী, বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কাজকর্মও করতে পারবে।
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে ২০৩০ সালে মানুষের পা পড়বে মঙ্গলে। তাই, সময় রয়েছে এখনও খানিক। সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে তবেই মানুষ পাড়ি দেবে ভিন গ্রহে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, মহাকাশে একটি ইলেক্ট্রিক গাড়ি পাঠিয়ে, লালগ্রহ অধিকারে এক ধাপ এগিয়েছে মার্কিন বেসরকারি সংস্থা স্পেস-এক্স। সূত্র : বিডিনিউজ