খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দুলাভাই ফুসলিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষকের বাবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠনো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আবদুল লতিফ মিয়া জানান, মূল আসামি আনছারুল ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আনছারুলের বাবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই মূল আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এক দিনমজুরের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বৃহস্পতিবার সে স্থানীয় বাজারে গেলে তারই ফুফাত বোনের স্বামী দুলাভাই আনছারুল হক (২৮) তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে দুলাভাই আনছারুল তার শ্যালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রওনা হয়। ইতোমধ্যে আনছারুল মোবাইলে আবদুল লতিফ ও রমজান আলী নামে তার দুই বন্ধুকে ডেকে নিয়ে শ্যালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে রওনা হয়।
পথিমধ্যে একটি পুকুরের পাশে পৌঁছালে দুলাভাই আনছারুল ও তার সহযোগীরা ওই স্কুলছাত্রীকে পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে বাড়ি না ফেরায় তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজতে বের হয়। ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা চিৎকার শুনে কাছে যেতেই ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরদিন মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত আনছারুল হকের বাবা আবদুল আজিজ, আবদুল লতিফের বাবা বাবলু হক এবং গ্রাম্য দেওনিয়া কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পরিবর্তন