Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী কয়েক মাসে চারটি মামলায় কুমিল্লা ও নড়াইলসহ ঢাকার আদালতে হাজিরা দিতে হবে। খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের সাবজেলে (পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে) সাজা ভোগ করছেন। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, খালেদা জিয়াকে অন্য কোনও মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা, নেওয়া হলে কতখানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে, বা নিরাপত্তার কোনও ঝুঁকি রয়েছে কিনা। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোনও ঝুঁকি দেখছেন তারা। বরং তাকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই অবস্থান ক্ষমতাসীনদের।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, মামলার স্বার্থে প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়াকে হাজিরা দিতে আদালতে নিয়ে যাওয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট সক্ষম বলে তারা মনে করেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকা মামলাগুলোর মধ্যে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে কুমিল্লায় দায়ের করা একটি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির একটি মামলাটি রয়েছে। সেটির পরবর্তী হাজিরার দিন ২৫ মে। ঢাকায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগের মামলাটিতে ১৪ মার্চ এবং খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।

নড়াইলের আইনজীবী আব্দুস সামলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করা আছে। আগামী ২৫ মে তাকে হাজির হতে হবে।’ আর কুমিল্লার আইনজীবী কায়মুল হক রিংকু বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় নাশকতা, হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ— মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নাশকতা ও হত্যা মামলায় তিনি হুকুমের আসামি। নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিত আছে। তবে হত্যা মামলাটিতে তাকে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে হবে।’

খালেদা জিয়ার সম্ভাব্য হাজিরা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়া কেন ঝুঁকি হবে? মামলার প্রয়োজনে তাকে হাজিরা দিতে যেতে হলে অবশ্যই নেওয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো রয়েছে।’ তাছাড়া, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দিতে সরকার বাধ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্যও প্রায় একই মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে হাজিরা দিতে আদালতে নেওয়ার প্রয়োজন হলে তা করা উচিত। এ কাজে কোনও ঝুঁকি নেই। খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি যেখানেই যাবেন তার নিরাপত্তা নিশ্চয়ই পুলিশ দেবে।’বাংলা ট্রিবিউন।