খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৮ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংক খাতে কোনও তারল্য সংকট নেই। এডিআর (ঋণ আমানত অনুপাত) নিয়ে ব্যাংক খাতে অহেতুক প্যানিক দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এডিআর কমানোর কারণে এখন সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে ১১ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণ আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক এবং ফার্মাস ব্যাংকের আছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। ‘প্যানিক’ শব্দটি কেন যেন ব্যাংক সেক্টরে চলে এসেছে। এর কোনও কারণ আমি দেখছি না। এটি অত্যন্ত অমূলক আশঙ্কা।
তিনি আরো বলেন, ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) বিষয়ে আগে বলা হয়েছিল সিআরআর (নগদ জমা সংরক্ষণ) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণ) বাদ দিয়ে যে ৮০.৫ শতাংশ থাকে তার থেকে ব্যাংক নিজস্ব সিদ্ধান্তে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে। এখন আমরা বলছি ব্যাংক ৮০.৫ শতাংশ থেকে আর ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮৩.৫ শতাংশ করতে পারে। আমাদের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৮টি ব্যাংক এর নিচেই আছে। অনেক বেসরকারি ব্যাংক অ্যাগ্রেসিভ ল্যান্ডিং (ঋণ প্রদান) করছিল এবং নূন্যতম পরিমাণ ক্রেডিট ছিল না। এ জন্য অ্যাডজাস্টমেন্ট করেছি। যাতে একটি ক্রেডিট শৃঙ্খলা আসা যায়। সম্প্রতি আমরা খেয়াল করছি ডিপোজিট রেট (আমানতের সুদ হার) বাড়ছে। যাদের ডিপোজিট আছে, এটি তাদের জন্য খুবই সুখবর। কারণ ডিপোজিট রেট দীর্ঘদিন ছিল নেগেটিভ। তাই ডিপোজিটররা এখন ভালো রেট পাচ্ছেন, এতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এর ফলে ল্যান্ডিং রেটটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটা ব্যবসা বা দেশের জন্য ভালো না।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো তথ্য লুকাচ্ছে বলে মন্তব্য করে গভর্নর বলেন, এডিআর ৮৩.৫ শতাংশ হওয়ায় তারা বলছে ডিপোজিট অনেক বেশি ফল (হ্রাস) করছে। ডিপোজিট অনেক বেশি বাড়াতে হবে রেশিও ঠিক করার জন্য, সেটাও ঠিক নয়।’