Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৮ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবেন না তারা।

সরকার চাইতে পারে বিএনপি সহিংস আন্দোলন করুক, কিন্তু বিএনপি সরকারের ফাঁদে পা দেবে না। হরতালের মতো সহিংস কোনো কর্মসূচি এখনই দেওয়ার পরিকল্পনা নেই বিএনপির। তাছাড়া বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য জনগণকে নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের এই লড়াই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে নিয়ে আসার লড়াই, এ লড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্ত করার লড়াই। এ লড়াই বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করার লড়াই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লড়াই। গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আগ পর্যন্ত এ লড়াই চলবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতারা বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোনো সহিংসতায় জড়াবেন না তাদের নেতাকর্মীরা।

কোনোভাবে অ্যাগ্রেসিভ না হওয়া
বিএনপি বলছে, সরকারি দল চেয়েছিল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি যেন সহিংস হয়ে উঠুক। বিএনপি সহিংস হয়ে উঠলে সরকার ধরপাকড় শুরু করবে, নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নেবে। কিন্তু বিএনপি সহিংস হয়ে না ওঠায় সরকার হতাশ বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করুক। আর গাড়ি ভাঙচুর করলেই এ সুযোগে আওয়ামী লীগের লোকজন গাড়িতে আগুন দিয়ে, মানুষ মেরে বিএনপির ওপর চাপাবে। যেহেতু রায় ও সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কোনো সহিংস আন্দোলনে যায়নি, তাই সরকারি দল হতাশ। বিএনপি তাদের দলীয় প্রধানের নির্দেশেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়া এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে চান।

হরতাল দেবে না বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে টানা আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করে আসছেন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতায় জড়াননি। কেননা, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে নেতাকর্মীদের সহিংস কর্মসূচিতে না জড়াতে বলেছেন।

এজন্য তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন, অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন, অনশন করেছেন এবং সব শেষ গণসাক্ষর কর্মসূচি চালিয়েছেন। বিএনপি বলছে, এসব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও সরকার বিভিন্ন ধরনের বাধা দিচ্ছে, আটক করা হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের।

এদিকে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি গণমাধ্যমকে আলাদাভাবে প্রেসব্রিফিং করা হয়। এসময় দলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ, হরতালের মতো কর্মসূচি তারা দেবেন না।

নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। তবে তাদের দলের চেয়ারপারসনকে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। তাকে ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করব না। তবে তাদের আশা খালেদা জিয়া শিগগিরই মুক্তি পাবেন এবং তার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।

উসকানি দেওয়া থেকে বিরত থাকবে
বিএনপি কোনো ধরনের উসকানিমূলক কাজ করে না । তারা কাউকে কোনো উসকানি দেয় না। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক আচরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমকে এমন কথাই বলেছেন।

তিনি বলেন, সরকার তো সব কাজে বাধা দেয়। কর্মসূচি পালন করতে দিন নির্বিঘ্নে। জনগণকে কর্মসূচি পালন করতে দিন। জনগণই সবকিছুর বিচার করুক। গণতান্ত্রিক আচরণ করুন। পরিবর্তন