খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেপি অলি হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নেপালের প্রতিবেশি দেশ দুটি – ভারত ও চীন। তারা শুধু একটি দেশের উপর নির্ভর করে থাকতে পারেন না। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেই নেপাল প্রতিবেশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চায়।
চীনপন্থী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত অলি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আপডেট করে নিতে চান এবং ভারত-নেপালের মধ্যে যেসব বিশেষ ব্যবস্থাদি আছে সেগুলোও পর্যালোচনা করে দেখতে চান। এর মধ্যে রয়েছে নেপালি সেনারা দীর্ঘ কাল থেকেই ভারতীয় সেনা বাহিনীতে কাজ করে আসছে।
তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজনে এ বিষয়টি নিয়ে দু’দেশ পারস্পরিকভাবে আলোচনা করে নেওয়া যাবে। আমরা নতুন বিশ্বে বাস করছি। নেপালও নতুনভাবে চলতে শুরু করেছে। যে সব বিষয়কে সাবেকী মনে হয় সেগুলোকে পর্যালোচনা করে আমরা যুগোপযুগী করে নিতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। দেশটির সঙ্গে আমাদের সীমান্তও খোলা। সব কিছু ঠিকঠাকই আছে এবং আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াব। কিন্তু আমরা এটাতো ভুলতে পারি না যে, আমাদের দুটি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা তো শুধু একটি দেশ নিয়ে থাকতে পারিনা বা একটি অপশননির্ভর হতে পারি না।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে তার কি পরিকল্পনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সব সময়ই আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল বুঝাবুঝি আছে কিন্তু ভারতীয় নেতারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন, ভবিষ্যতে তারা আমাদের কোনো বিষয়েই কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা একে অপরের সার্বভৌম অধিকারকে সম্মান দেখাব।’
প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির বর্তমান বয়স ৬৫ বছর। তিনি এর আগে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাদেসীদের নিয়ে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়ে হলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
মাদেসীরা মূলত ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পার্লামেন্টে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তারা উদ্বেগে ছিলেন এবং নতুন সংবিধানে সংশোধনী আনার জন্য তারা আন্দোলন শুরু করেন। তাতেই রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নেপাল সফর করেন এবং তিনি অলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্যান্য বাম নেতার সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অলির সঙ্গে কথা বলেছেন।