Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে রাজনীতি শেখাতে ব্যর্থতার দায় নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘অফিসে বসে,ঘরের মধ্যে থেকে যে রাজনীতি হয় না-এখন এই তরুণকে (ওবায়দুল কাদের) আমি কেমন করে শেখাব? শেখাতে পারিনি হয়তো, আমাদের ব্যর্থতা।’

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের আলোচনায় সভায় এমাজউদ্দীন এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এমাজউদ্দীন ছিলেন তার শিক্ষক।

সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হলে ঘরে করুন,অফিসে করুন। তার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন এমন মন্তব্য করলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথাটা খানিকটা শুনে রাখা ভালো বলে মন্তব্য করে এমাজউদ্দীন বলেন, এভাবে দিন চললে তারপর পরিস্থিতি এমন অবস্থায় আসবে, যখন আপনা-আপনি গতিটা দ্রুত হবে। হিংসাত্মক হওয়ার দরকার নেই। এ জন্য অপেক্ষা বেশি দিন করার দরকার হবে না। কারণ, হিংসা-প্রতিহিংসা,নতুন হিংসা-প্রতিহিংসার জন্ম দেয়।

ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, নির্বাচন ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ১০ থেকে সাড়ে ১০ লাখ মানুষ প্রায় ৫০ হাজার মামলায় আসামি বা জড়িত হয়ে আছে।তাদের অনেকে কারাগারে,নির্বাচনের আগে তাদের প্রস্তুতিপর্ব চলতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের আবহ তৈরি করে দিতে হবে। এসব না করে কিছুতেই নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে না।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং সংকটে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ,সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, বিএনপির আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।

নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, স্যুট-কোট পরে এয়ারকন্ডিশন রুম থেকে মাঝে মাঝে বিএনপিকে তাড়িত করে তারা বক্তব্য দেন। এটা ধোঁকাবাজি, বিএনপি প্রতিনিয়ত এই ধোঁকার শিকার হচ্ছে।

বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের সবাইকে ডাকার পরামর্শ দেন অলি। বলেন, তাদের বলতে হবে-আইনসম্মত ও সাংবিধানিকভাবে আওয়ামী লীগ যেভাবে অবরোধ করেছিল বা অবস্থান ধর্মঘট করেছিল সে ধরনের কর্মসূচির দিকে যেতে। যে ভালো করবে তাকেই পুরস্কৃত করা হবে, নমিনেশন  দেওয়া হবে। একটা পদ্ধতিগতভাবে চলতে হবে। প্রত্যেক দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য বা অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে খলেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে দেখতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন একটা রাজনৈতিক দল, যারা সব সময় লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি করে নির্বাচনে জিতে এসেছে,মঞ্চ করে নির্বাচনে জিতে এসেছে, তারা প্রতিপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে সেটা চিন্তা করতে হবে। আমরা ওই পন্থা অবলম্বন করতে চাই না, আমরা শান্তিপূর্ণ পন্থায় এগুতে চাই।’

২০০৭-০৮ সালে যতগুলো মামলা হয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সব মামলা নিষ্পত্তি করা উচিত। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি চাই। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেখানে তারা সম্পৃক্ত নন-বলেন অলি আহমদ।