খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮: সদিচ্ছা থাকলে সৎ উপায়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে ইমামতির পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়া যায়। উপার্জন করা যায় অর্থ। অভাবকে জয় করা যায়। স্বাচ্ছন্দ আনা যায় সংসারে। অর্জন করা যায় খ্যাতি ও সম্মান। হাওরের অনাবাদি জমি চাষাবাদ করে সফল কৃষক হয়েছেন জগন্নাথপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দীন জালালী।
এতে চাষাবাদে ব্যাপক উৎসাহ বেড়েছে এলাকার ইমাম, বেকার যুবক, শিক্ষক, ছাত্র, ও সাধারন কৃষকদের মধ্যে। বর্তমানে এলাকার কৃষকরা ইমামকে অনুসরণ করছেন। বিশেষ করে যুব ও তরুণ সমাজে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের অপাসাধু গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের পুত্র মাওলানা নিজাম উদ্দিন এলাকার পরিচিত মুখ। যে কোন মানুষের বিপদে তিনি সবার আগে এগিয়ে যান। সাধ্য মতো সহযোগিতা করেন। তিনি পেশায় একজন ইমাম হলেও সমাজ সেবায় রয়েছে তাঁর অবদান। তিনি বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ইমামতি করছেন।
জানা যায়, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গদাইখালী, গাছতলা, সলুয়া ও ধলুয়াসহ ছোট ৪টি হাওরে পানির অভাবে যুগযুগ ধরে কোন জমি আবাদ হয়নি। এসব হাওরের অনাবাদি জমি প্রথম চাষাবাদ করে সবাইকে চমকে দেন নিজাম। ২০০৮ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে স্থানীয় কুশিয়ারা নদী থেকে সেচ পাম্প মেশিন দিয়ে হাওরে পানি সেচের ব্যবস্থা করেন। তখন এলাকার সকল কৃষকদের উৎসাহিত করেন হাওরের অনাবাদি জমি আবাদ করতে। তখন থেকে হাওরের পতিত জমি প্রতি বছর চাষাবাদ করে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা।
২০১৬ সালে মাওলানা নিজাম উদ্দিন সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০১৭ সালে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তির ধান কাটা ও মাড়াই মেশিন আমদানি করে সবাইকে অবাক করে দেন নিজাম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও সফল কৃষক মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালী বলেন, সদিচ্ছা থাকলে ইমামতির পাশাপাশি সৎভাবে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন ও খ্যাতি অর্জন করা যায়। আমি শুধু মানুষের সেই ইচ্ছাকে জাগ্রত করতে চাই এবং মানুষ যেন পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্য বদল করে স্বাবলম্বী হতে পারে।