Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮:  কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। অনুষ্ঠানমালায় থাকছে আলোচনা সভা, লালন মেলা ও নির্ধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও লালন একাডেমির আয়োজনে শুরু হওয়া এ স্মরণোৎসব চলবে ৩ মার্চ শনিবার পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্মরণোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ। অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্মরণোৎসবে যোগ দিতে কুষ্টিয়ার কোল ঘেঁষা কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়ায় এরই মধ্যে ভিড় জমিয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য বাউলভক্ত-অনুসারী। উৎসবে মরমি সাধক লালনের জীবনকর্ম, জাতহীন মানবদর্শন ও চিন্তা-চেতনার আদর্শিক বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এই মানুষে আছে রে মন, যারে মানুষ রতন এই মানবতার দিক্ষা নিতে আত্মার টানে দেশ-বিদেশের সাধু-গুরু ও ভক্তরা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন সাঁইজির মাজারে। মূল উৎসব শুরু হওয়ার ৩-৪ দিন আগ থেকে আখড়ায় আসা বাউল সাধকরা মাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আসন গেড়ে গেয়ে চলেছে সাঁইজির আধ্যাত্মিক মর্মবাণী ও ভেদ তথ্যের গান। জমজমাট এখন লালন শাহের আখড়া বাড়ি। সুষ্ঠুভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে থাকছে র‌্যাব ও সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশ।

লালন একাডেমি আয়োজিত মূল মঞ্চে লালনগীতি ও লালনমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ বৃহস্পতিবার রাত সাতটায়।

উদ্বোধনী দিনে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম মেহেদি হাসান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ। উদ্বোধনের পর লালন মঞ্চে লালন দর্শনে আলোকপাত করে আলোচনা এবং লালন সংগীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসব চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে লালনের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণসহ আলোচনা ও লালন সঙ্গীতানুষ্ঠান।

জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান জানান, আয়োজন শেষ হয়েছে। বাউল ও সাধুদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। দেশ-বিদেশ থেকে অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।