Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ০২ মার্চ , ২০১৮:(পিরোজপুর প্রতিনিধি) বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে।পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে পিরোজপুরের নাজিরপুরেও লিফলেট বিতরন কর্মসুচী পালন করে।নাজিরপুর উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এই লিফলেট বিতরন কর্মসুচী পালন করা হয়। 

পিরোজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বার বার কারা বরনকারী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান  নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরন কর্মসুচী পালন করা হয়।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান কারাগারে থাকাবস্থায় নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।


অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল

করিম লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ- সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন,মনিরুজ্জামান মাঝী, সাইফুল ইসলাম লিটন, মাসুদ খান, বেলায়েত হোসেন মাঝী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খান,এবং ছাত্রদল ও যুবদলের সদস্যবৃন্দ।

লিফলেট বিতরনের পাশাপাশি দেশমাতা বেগম খালেদাজিয়ার মুক্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নাগরিকদের গনস্বাক্ষর অভিযান চলতে থাকে। এতে স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।

দুই পৃষ্ঠার লিফলেটের শিরোনাম হচ্ছে : শেখ হাসিনার ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার / খারিজ বনাম উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভিত্তিহীন মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড।’ এই লিফলেটে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলক, কাল্পনিক ও সাজানো’  মামলায় কারাদণ্ড প্রদান এবং আওয়ামী লীগ  সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার ও অন্য ৯টি মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক খারিজের পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে। 

এ ৯টি দুর্নীতি মামলায় সর্বমোর্ট অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা। লিফলেটের একেবারে শেষ প্রান্তে বলা হয়, এক টাকাও দুর্নীতি না করে বেগম খালেদা জিয়াকে যদি  জেলে যেতে হয়, তবে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ তা ভবিষ্যতে জনগণের আদালতেই নির্ধারিত হবে।