Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ০৫ মার্চ, ২০১৮: দীর্ঘদিনের মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণার জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ  ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদের।
দক্ষিন দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং-এ আরো চারটে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে – বিধানসভায় এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণার গূণগত মান ও উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ স্থাপনে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় এক দশকের দাবীকে স্বীকৃতি দেওয়া হল এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পিছিয়ে থাকা মানুষদের যোগ্য করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়– মহাত্মা গান্ধীও এই ধারণা পোষন করতেন। অনগ্রসর, অবহেলিত, প্রান্তিক, সংখ্যালঘু মানুষদের অগ্রগতিতে এই কারণে নিতে হয় কিছু প্রকল্প, পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ। এবং তা রূপ দিতে হয় বাস্তবে। এই চারটে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা উন্নয়নের বাতাবরণে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।  

মুর্শিদাবাদ রাজ্যের সর্বাধিক মুসলিম প্রধান এলাকা। শিক্ষায় বহু বছর ধরে এই অঞ্চল অবহেলিত। নতুন সরকার আসার পর উচ্চশিক্ষা প্রসারে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচী হয়েছে এ পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা থাকলেও শিক্ষার প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না। কিছু কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থাকলেও কোন স্বয়ং সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় মুর্শিদাবাদে নেই। সংখ্যালঘু উন্নয়নে সারা দেশ জুড়ে নানা রকম বাধা। মৌলবাদী নানা সংগঠন অনগ্রসর উন্নয়নে নানা বাধা দিলেও আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে বরাবর সরব। তিনি বরাবর অনগ্রসর উন্নয়নের পক্ষে।

নভেম্বর ২৬, ২০১৫ শহীদ মিনার কলকাতায় অনুষ্ঠিত একটি র্যালীতে সংখ্যালঘু উন্নয়ণকামী নেতা সিদ্দীকুল্লা চৌধুরীর উপস্থিতিতে বিশিষ্ট গ্রন্থ প্রকাশক, সমাজ সেবক, সহ অধিকর্তা – দূরশিক্ষা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তথা রিসার্চ জার্নাল ‘উদার আকাশ’ এর সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর মৌখিক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুর্শিদাবাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জোরালো আন্তরিক দাবী জানান। ওইদিন তাঁর সম্পাদিত ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা "উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" সংখ্যাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতে তুলে দেন। সমসাময়িক দৈনিক বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার উল্লেখ আছে। 

এছাড়াও ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ড. মধু মিত্র, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ এবং ফারুক আহমেদ তাঁদের স্বাক্ষর সমন্বিত দাবী পেশ করেন এই মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে। 
কন্যাশ্রীর সাফল্য, পাশাপাশি  অনুমোদিত ১১ টি স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ৯২ টি কলেজে ন্যাক মূল্যায়ন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ এর ফলেই বাংলাতে শিক্ষার প্রসার ঘটছে দ্রুত। তার সঙ্গে এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। ভবিষ্যত মহীরুহের অঙ্কুর, – এই ঘোষণা। অনেক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে ফারুক আহমেদ এই উদ্যোগের যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মান জানাচ্ছেন। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর এই উন্নয়ন যজ্ঞে নিজেকে সামিল করতে পেরে ধন্য ও ভবিষ্যত উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নিজে ও নিজের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকাকে সামিল করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ, সমীপেষু– মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ : একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আবেদনর কিছু অংশ তুলে দিলাম।
'বর্তমান সরকারের আমলে যে দ্রুতগতিতে প্রায় প্রতিটি জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা এযাবৎ আমাদের ভাবনাতেও ছিল না। ফলত, মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর মনে লালিত দীর্ঘদিনের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বাসনা আজ আর স্বপ্ন মনে হচ্ছে না। তথাকথিত আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে এই জেলার মানুষের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্খা পূরন হবে না। এখানে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী কলেজে পড়তে আসেন-তারা কেবলমাত্র জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার কারণে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অতএব, সেই পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রত্যাশা আকাঙ্খা পুরনের জন্যই এই জেলাতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি।’
‘প্রসঙ্গত আপনাকে জানাই, ইতিমধ্যেই ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে গত ৪ অক্টোবর ২০১৫ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সফলভাবে পথ সভা সংগঠিত করেছি। সেখানে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গত ৯ নভেম্বর ২০১৫ বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাননীয় মান্নান হোসেনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনে সফল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।’

‘অতএব পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা ঝেড়ে ফেলে উন্নত মুর্শিদাবাদ ও উন্নত বাংলা গড়ার প্রয়োজনেই এই জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাননীয়া জননেত্রীর নতুন বাংলা-সোনার বাংলা নির্মাণের অক্লান্ত প্রয়াসে আজ বাংলা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাকে বিশ্ব বাংলা গড়ার যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে আপনার অভিভাবকত্বে ও সুযোগ্য নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদ জেলাও তার শরিক হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বপ্নপূরন মাননীয়া জননেত্রীর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে এমনই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এবিষয়ে আপনার সনির্বন্ধ বিবেচনা ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যাশায় রইলাম।’

সূত্র: মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ, সমীপেষু– মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ: একটি প্রস্তাবনা, প্রস্তাবক-ড. মধু মিত্র, সহকারী অধ্যাপক, ডোমকল কলেজ, মুর্শিদাবাদ, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক, ইউ সি টি সি, মুর্শিদাবাদ, এবং ফারুক আহমেদ, সম্পাদক উদার আকাশ, স্থান: বহরমপুর, তারিখ: ১৭-১২-২০১৫