খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ০৮ মার্চ, ২০১৮:পাঁচদিনের ভারত সফরের শুরুতে আসামের কামাখ্যা মন্দির পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে অবস্থিত বিখ্যাত এই মন্দিরে যান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আসাম রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও দিল্লি ও গুয়াহাটির বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড়টার দিকে একটি বিশেষ বিমানে আসামের লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবতরণ করে রাষ্ট্রপতি। এ সময় আসামের গর্ভনর জগদীশ মুখী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এরপর রাষ্ট্রপতি গুয়াহাটির পাঁচতারকা হোটেল ভিভান্তায় বিশ্রামের পর বিকেলে কামাখ্যা মন্দিরে যান।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চরে রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপতির এটাই প্রথম সফর। রাষ্ট্রপতির এ সফর উপলক্ষ্যে গুয়াহাটি শহর নানা রংয়ে সাজানো হয়েছে।
আসামর সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ‘এ্যাডভান্টেজ আসাম’ শীর্ষক বিশ্ব শিল্প বিনিয়ােগ সন্মেলনে বাংলাদেশের সঙ্গে যােগাযােগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সেইসব দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আলোনায় বসবেন। রাষ্ট্রপতি সম্মানে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে গুয়াহাটির এক পঞ্চতারকা হোটেলে ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছে।
গুয়াহাটিস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার কাজি মুনতাসির মুর্শেদ আমাদের অর্থনীতিকে জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের ৭০ জন প্রতিনিধি এসেছেন। সফরের প্রথম দিন আসামের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল রাষ্ট্রপরিত সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করবেন। রাতে স্থানীয় এক হােটেলে আসাম সরকারের আয়ােজিত এক ভোজসভার আয়োজন করেছে। আজ শুক্রবার তিনি শিলং যাবেন। শিলং-এ রাত্রি বাস করে পরদিন এবং ১০ মার্চ গুয়াহাটি বিমান বন্দর হয়ে নয়া দিল্লী যাবেন। নয়া দিল্লীতে সৌর শক্তি সম্পর্কীয় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। ১২ মার্চ বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার কথা আছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানরা, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় রাষ্ট্রপতিকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সহধর্মিণী রাশিদা খানম, ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপিসহ বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সফরের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভারতের মেঘালয় ও আসামে অবস্থান করবেন, যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অবস্থান করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (মুজিব বাহিনী) সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।