খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ০৯ মার্চ, ২০১৮: দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত মধ্যপাড়া পাথর খনির ভূ-অভ্যন্তরে প্রায় ৩শ’ মিটার গভীরে পাথর উত্তোলনের জন্য যে বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাস ভূ-গর্ভ থেকে নির্গমনে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪.১১ মিনিট থেকে ৫.১১ মিনিট পর্যন্ত পরপর ৩ বার হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে খনির ভূ-গর্ভে অবস্থানরত শতাধিক খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।
খনির অভ্যন্তর বিষাক্ত গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে ভু-গর্ভে কর্মরত খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে প্রাণহানীর আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু খনি পরিচালনাকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি এর বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক তড়িৎ গতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে খনি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। খনিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ জরুরি হওয়া সত্বেও খনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুটিনে পরিণত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক খনি আইন অনুযায়ী যে কোন খনিতে দুটি পৃথক উৎস হতে দুইটি স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন প্রদান করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মধ্যপাড়া খনি কর্তৃপক্ষের বছরে পর বছর ধরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কর্মরত খনি শ্রমিক ও বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)র মহা-ব্যস্থাপক (জিএম) জামিল আহম্মেদ জানিয়েছেন- খনিতে কর্মরত শ্রমিক ও বিদেশি বিশেষজ্ঞগণ জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে খনি অভ্যন্তরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে খনিতে অবস্থিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি প্রায়শই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে খনিতে পাথর উৎপাদনের খরচও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এব্যাপারে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এস,এম, নুরুল আওরঙ্গজেব বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কে চিঠিতে দিয়ে জানানো হয়েছে খনিতে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। রংপুর থেকে পিডিবির নতুন লাইন হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।