খােলা বাজার২৪।শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ঃ বেসরকারি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেছেন, শুধু লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমানো সম্ভব। এই লাইফস্টাইল হলো প্রধানত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাটা, পর্যাপ্ত ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ধুমপান মুক্ত থাকা। ‘শিশুদের কিডনি রোগ: শুরুতেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল অলোচনায় মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) আসন্ন কিডনি দিবস উপলক্ষে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
ক্যাম্পস-এর সভাপতি ডা এম এ সামাদ বলেন, ‘বিশ্ব কিডনি দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, কিডনি রোগের ব্যপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মানুষকে সচেতন করা। কিডনি বিকল প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা করা ও সুস্থ ধারায় সবাইকে অভ্যস্ত করা।’
এম এ সামাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় এ দেশের শতকরা ১০ জন রোগী এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন না। অর্থাভাবে অকালে প্রাণ হারান সিংহভাগ রোগী। অথচ সচেতন হলেই ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ সম্ভব।
এজন্য লাইফস্টাইল শিশুকাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত মেনে চলা প্রয়োজন।’ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে কিডনি রোগের ওষুধের দাম আকাশচুম্বী ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকে কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ রোনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ফিরোজ খান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সোসাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সফিকুর রহমান অংশ নেন।