খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ : বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব গৌতায় শুরু করা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
সিরিয়ার সৈন্যরা অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় শহর দৌমা ও অপর একটি শহরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস, খবর বিবিসির।
সিরীয় সেনাবাহিনীর এই অগ্রগতিতে পূর্ব গৌতা অঞ্চলটি কার্যত তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এই শেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি পুনরুদ্ধারে গত মাসে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে সিরিয়া সরকার।
তারপর থেকে সরকারি বাহিনী অঞ্চলটির প্রায় অর্ধেকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বলে খবর হয়েছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত নয় শতাধিক বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের সমর্থন ও সরবরাহ নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দিতে অঞ্চলটিকে বিভক্ত করার কৌশল সামনে রেখে অভিযান শুরু করেছিল সরকারি বাহিনী, তাদের সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে।
সরকারি বাহিনী ওই অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শহর মিসরাবা পুনরুদ্ধার করে আশপাশের খামার এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দৌমার দিকে যাওয়া একটি মহাসড়কের পাশে মিসরাবা শহরটির অবস্থান। ওই অঞ্চলের আরেকটি বড় শহর হারাস্তার অবস্থান এই মহাসড়কটির পশ্চিম পাশে।
সরকারি বাহিনীর এই অগ্রগতির তথ্য যদি নিশ্চিত হয়ে তাহলে পূর্ব গৌতা অঞ্চলটি তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দৌমা ও সংলগ্ন শহরগুলো উত্তরে, পশ্চিমে হারাস্তা এবং বাকি এলাকাগুলো দক্ষিণে।
এদিকে সিরিয়ার বিরোধী একটি দলের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, কট্টরপন্থি হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধাদের একটি দল পূর্ব গৌতা থেকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হামায় গিয়ে পৌঁছেছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে পূর্ব গৌতা ছেড়ে চলে যাওয়ার চুক্তির একদিন পর তারা হামা পৌঁছল।
শুক্রবার জাতিসংঘের ত্রাণবাহী বহরগুলো সাফল্যের সঙ্গে পূর্ব গৌতায় ত্রাণ সরবরাহ করেছে। এর আগে ব্যাপক গোলাবর্ষণের কারণে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত রাখা হয়েছিল।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সাত বছর পার হওয়ার পর পূর্ব গৌতায় এখন প্রায় চার লাখ লোক আছে বলে ধারণা করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে অঞ্চলটি অবরোধ করে রেখেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সূত্র : বিডিনিউজ