খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ : মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ। পেশায় একাধারে চিকিৎসক, সৈনিক, প্রশিক্ষক ও গবেষক। সৌখিন লিখিয়ে। বহুমুখী স্রোতধারা একই মোহনায় এসে মিশেছে। জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী হিসেবে প্রথমে কঙ্গোতে পরে ওয়েস্টার্ন সাহারায় কাজ করেন। মরুভূমির ধূলি ধুসরিত রক্তাক্ত ভূগর্ভে কাজ করবার গৌরবোজ্জ্বল অভিজ্ঞতা নিয়ে রচনা করেন স্মৃতিকথা ‘যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের’।
‘‘শান্তিরক্ষী হিসেবে তাকে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হলো মুখোমুখি অবস্থান নেয়া দুই প্রতিপক্ষের ঠিক মাঝখানে। এক পক্ষে সাহারার আদি অধিবাসী পোলিসারিও দুর্ধর্ষ যোদ্ধার সারি, অপর পক্ষে রয়েল মরক্কান আর্মির প্রশিক্ষিত চৌকষ সেনাবাহিনী। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাক্ষিত কিছু ঘটলে প্রথম ‘ভিক্টিম’ হবে সে। বুকের ভিতর রণদুন্দুভি বেজে ওঠে। ত্রাসের বিরুদ্ধে দুঃসাহসের এই চ্যালেঞ্জে তাকে জিততেই হবে। সৈনিকের কড়া পোশাকের একদিকে তার নাম লেখা- ‘মেজর ডা. খোশরোজ’। অন্যদিকে তাঁর দেশের নাম জ্বলজ্বল করছে। সেই দেশের নাম ‘বাংলাদেশ’।’’ তাঁর বইয়ের এই কয়টি লাইনে বইটির সামগ্রিক অবয়ব ফুটে উঠে।
কর্মরত পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা লিখিত এই ধারার স্মৃতিকথা বাংলা সাহিত্যে এক বিরল রচনা । বইটির প্রকাশক মজিবর রহমান খোকা, ‘বিদ্যা প্রকাশ’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। শুভ কামনা জানিয়ে ফ্ল্যাপ লিখেছেন দেশ বরেণ্য কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। মূল্য ১৮০ টাকা হলেও ২৫% ছাড়ে ১৩৫ টাকায় বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৭৬,১৭৭,১৭৮,১৭৯ বিদ্যাপ্রকাশের স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটি ইতিমধ্যে ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে।